পুজোর মরশুমে বিরিয়ানিতে ভিড়, খাবারের মান পরীক্ষায় হেঁশেলে হানা প্রশাসনের

মেদিনীপুর : পুজোর মরশুম সেভাবে শুরু হয়নি এখনও। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোর আগে থেকেই বিরিয়ানি দোকানগুলোতে অস্বাভাবিক ভিড় মেদিনীপুর শহরে। ভিড়ে খোদ্দের সামাল দিতে গিয়ে খাদ্যের মান কি ঠিক রয়েছে? তা দেখতে হঠাৎ অতর্কিত অভিযান জেলা প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মেদিনীপুর শহরের একের পর এক বিরিয়ানির দোকানে হানা দিলেন খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক, পুলিশ, মহকুমা শাসক, পৌরসভার আধিকারিকরা। ধরা পড়ল বেশ কিছু ত্রুটিও। সেগুলি উল্লেখ করে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক। এদিন খাবারের দোকানগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি ভিড় যেখানে থাকে সেই বিরিয়ানির দোকানগুলোকেই বেছে নেন আধিকারিকরা। কেরানিতলা সংলগ্ন এলাকায় থাকা নামকরা বিরিয়ানির দোকানগুলিতে হাজির হয়েই নিজেদের পরিচয় দিয়ে ফুড লাইসেন্স সহ বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা শুরু করেন তারা। এরপর নামকরা সেই বিরিয়ানি দোকানে সরাসরি হেঁশেলে ঢোকেন খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ঢুকেই দেখেন রান্নার কাজে থাকা কর্মীদের কারোর এপ্রোণ নেই, নেই মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও। সাত দিনের সময় বেঁধে দেন সেগুলি সম্পন্ন করার জন্য। সেখান থেকে একটু এগিয়ে কেরানীতলার দিকে যেতেই আরও কয়েকটি বিরিয়ানির দোকানে ঢুকে পড়েন। দেখা যায় ব্যবহার করা তেলের মান খুবই নিম্নমানের। আলু রং করতে ব্যবহার করা হচ্ছে কম দামের রং। ফ্রিজ পরীক্ষা করে পুরনো খাবার না পেলেও তেল ও রং নিয়ে আপত্তি তোলেন আধিকারিকরা। প্রত্যেককেই সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।
অভিযানে থাকা মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মূলত পৌরসভার উদ্যোগ ছিল এটা, ফুড সেফটি অফিসার সবটা দেখেছেন। কর্মীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট ও বেশ কিছু জিনিস অসম্পূর্ণ ছিল। সাত দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তাদের।” পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “পুজোর সময় ভিড় শুরু হয়ে যায় বিরিয়ানির দোকানগুলিতে। কিন্তু তারা যে খাবারটা দিচ্ছেন সেটার গুণমান ঠিক থাকছে কিনা দেখতেই এই অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক মাস ধরে লাগাতার যখন তখন এই অভিযান দেখা যাবে মেদিনীপুরে। প্রতিমুহূর্তে খাবার মান ঠিক থাকছে কিনা সেটা দেখা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page