পাখি বাঁচাতে রাত পাহারা

ঝাড়গ্রাম : প্রায় ৩০ বছর ধরে তেঁতুল গাছেই আশ্রয় নেয় পাখির ঝাঁক। প্রতিবছরই এই সময় ভিড় জমায় শামুকখোল, বক সহ বিভিন্ন পাখি। তাদের দেখতে ঢল নামে পর্যটকদেরও। এজন্যই পরিচিতি হয়ে গিয়েছে গ্রামের নামও। যাদের জন্য গ্রামের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সেই পাখির ঝাঁক নির্বিচারে শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তারা জানান, যে পাখির জন্য আমাদের গ্রামের পরিচিতি, সেই পাখি শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে চোরাশিকারিরা। যদি আটকানো না দেওয়া যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে শেষ হয়ে যাবে গ্রামের সুনাম! তাই পাহারার দাবিতে বনদপ্তরে জানালেন গ্রামবাসীরা। পাখি বাঁচাতে তারা বনকর্মীদের সর্বদা সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনী ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের তেঁতুল গাছে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বংশবিস্তারের জন্য ডেরা বাঁধে পাখির ঝাঁক। আর তাদের দেখতে ভিড় জমায় পর্যটকরা। বাচ্চা বড় হলে আবার ফিরে যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোরা শিকারিরা মেরে ফেলছে। তা আটকাতে রাত পাহারা দেওয়া শুরু করল বনদপ্তর। সঙ্গে গ্রামবাসীরাও। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে টর্চ লাইট দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের। জামবনী রেঞ্জের আধিকারিক পাপন মহান্ত জানিয়েছেন, “পাখি বাঁচানোর জন্য বন কর্মীরা রাতে পাহারা দিচ্ছেন। গ্রামবাসীরাও সহযোগিতা করছেন। নিয়মিত পাহারা দেওয়া চলবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page