জঙ্গলে খাবারের সঙ্কট! জাতীয় সড়কে একঘন্টা গাড়ি আটকে ‘তল্লাশি’
মেদিনীপুর : সোমবার সাত সকালেই খড়্গপুর-আসানসোল গামী ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে দাপিয়ে বেড়ালো দাঁতাল। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার লেদাপোল এলাকাতে হাতি জাতীয় সড়কে উঠে মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পড়তেই দুই প্রান্তের গাড়িগুলি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আতঙ্কে ৷ তারপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে শুঁড় বাড়িয়ে তল্লাশি চালায় খাবারের জন্য। খাবার খুঁজে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিশ্চিন্তে খেলো জাতীয় সড়কে ছড়িয়ে। একঘন্টা গাড়ি বন্ধ করে তা দাঁড়িয়ে দেখতে হলো বিভিন্ন গাড়ির চালক থেকে বাস যাত্রীদের ৷
বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই মুহুর্তে ৭০ টির বেশি হাতি রয়েছে ৷ সেগুলি বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে ৷ তবে তাদের মধ্যে ওই হাতিটি একেবারে অন্যরকম। জঙ্গলমহলের মানুষজন তার নাম দিয়েছে ‘রামলাল’। স্থানীয়রা জানিয়েছেন হাতিটি শান্ত প্রকৃতির। সেভাবে ক্ষতি না করে খাবার পেলেই খেয়ে বেরিয়ে যায়। ওই হাতিটি সোমবার সকাল ৮ টা নাগাদ জঙ্গল থেকে গড়বেতার লেদাপোলে হাজির হয়েছিল। সেখানে জাতীয় সড়কে উঠে পড়ে। ব্যস্ততম জাতীয় সড়ক ধরে কয়েক হাজার গাড়ি প্রতিদিনই যাতায়াত করে। সেই রাস্তায় সকাল ৮ টা নাগাদ উঠে আড়াআড়া ভাবে দাঁড়িয়ে পরে। ফলে দুই দিক থেকে আসা গাড়িগুলি তাকে দেখেই দাঁড়িয়ে পড়ে দুই প্রান্তে। দীর্ঘ লাইন তৈরী হয়ে যায় মুহুর্তে। এরপরই হাতিটি দাঁড়িয়ে থাকা বাস, লরিগুলিতে শুঁড় দিয়ে খাবারের খোঁজে তল্লাশি চালায়। একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা খবারের বস্তা পেয়ে রাস্তায় নামিয়ে খেয়ে ছড়িয়ে দেয়। একঘন্টা ধরে ‘লুঠপাট’ করে পাশে থাকা একটি পেট্রোল পাম্পে ঢুকে পড়ে। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে খাবারের খোঁজ করে। পরে নিজের মতো করে ফের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। তবে দীর্ঘ এই তান্ডবে খানিকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দুই প্রান্তের বিভিন্ন গাড়ির চালকেরা। পরে বনকর্মীরা হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠালে স্বাভাবিক হয় জাতীয় সড়কের যানজট।