snach : পাঁশকুড়াতে কেপমারি করে মেদিনীপুর শহরে নামী হোটেলে দুষ্কৃতির দল,গ্রেফতার করে উদ্ধার বিপুল টাকা
মেদিনীপুর: সোনার জিনিসপত্র প্রস্তুতকারক পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা
মিলন দন্ডপাট বেলদায় গ্রাহকের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে ফিরছিলেন ৷ মেছগ্রামের কাছে
একটি বাসে উঠেছিলেন ৷ ভীড়বাসে তার পেছন নিয়েছিলেন কয়েকজন৷বাস থেকে টাঁর মোটা টাকা হাতিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা ৷
বুঝতে পেরেই বাস থেকে নেমে এক দুষ্কৃতির পেছন ধাওয়া করে ধরে ফেলেন মিলন বাবু ৷ স্থানীয়দের
সহযোগীতায় তাকে ধরে পাঁশকুড়ার পুলিশের হাতে দেওয়া হয় ৷ পরে বাকিদের সুত্র খুঁজে
রবিবার রাতে মেদিনীপুর শহরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে ৷ উদ্ধার
বিপুল টাকা ৷ গ্রেফতার হওয়া
সকলকে পূর্ব মেদিনীপুরের তুমলুক আদালতে তোলা হয় সোমবার ৷
মিলন দন্ডপাট জানান- হাতে টাকার ব্যাগ নিয়ে ভীড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম৷ বাসের ভেতরে আমার পায়ে জোরে পা তুলে দেন একজন ৷ যন্ত্রনায় পা এর দিকে থাকাতেই
তার হাতে থাকা ব্যাগ থেকে টাকা সরিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা ৷ মুহুর্তে বুঝতে পারি টাকার ব্যাগ হালকা হয়ে গিয়েছে ৷ ততক্ষনে
বাস যশোড়া স্টপেজে দাঁড়াতেই কয়েকজন নেমে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারি ৷ তার একজনকে লাফিয়ে
গিয়ে ধরে ফেলি ৷ বিপুল ধ্বস্তা ধ্বস্তি হয় ৷ স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে ধরে পাঁশকুড়া
থানার পুলিশের হাতে দেওয়া হয় ৷ অন্যদিকে
পুলিশ ওই আটক করা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সব জানতে পারে ৷ তদন্তের সুত্র ধরে রবিবার
সন্ধা সাতটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের নামী একটি হোটেল ঘিরে ফেলে ৷ পূর্ব মেদিনীপুর ও
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ওই হোটেল ঘিরে ধরে অভিযান শুরু করে ৷ সেখান থেকে ৫ জনকে
গ্রেফতার করে ৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোটাটাকা ৷
সোমবার গ্রেফতার হওয়া সকলকে তোলা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের
তমলুক আদালতে ৷ অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের ওই
নামী হোটেলে এই দুষ্কৃতিদের
আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ব্যাবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের
পক্ষ থেকে ৷ পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন – ওই হোটেলের ভূমিকাও ক্ষতিয়ে
দেখা হচ্ছে ৷ সব দিক দেখা হচ্ছে ৷ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷