ঋণ করে আলু চাষ, বর্ষণে ক্ষতির আশঙ্কায় বিষপান আলু চাষির
মেদিনীপুর: ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ জাতের আলু চাষ করেছিলেন এক কৃষক। কিন্তু অকাল বর্ষণে পুরো চাষের জমি জলে ডুবে গিয়েছিল। চাষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আলুর জন্য রাখা বিষপান করে নিলেন ওই কৃষক। ভর্তি করা হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই কৃষকের নাম বাপি ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত লাহিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্ত্রী ঝুমা ঘোষ জানান, “ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা আলু চাষ করেছিলেন। পোখরাজ জাতের আলু ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সেই আলু জমি পুরো ডুবে গিয়েছে। আলুর কোন গাছ বেরোচ্ছে না। ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এমন আশঙ্কা করছিলেন আমার স্বামী। সব সময় চিন্তায় থাকত, খাওয়া দাওয়া করছিল না। মদ্যপান করা শুরু করে দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আলু জমির জন্য রাখা বিষপান করে ফেলেন। আমি জানিনা কি করব এবার। বাড়িতে আমার ৯ বছরের বাচ্চা রয়েছে।” রাতে ঘটনার পর বাপিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে অবস্থার অবনতির কারণে শনিবার সকালে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তার পরিস্থিতি যথেষ্ট আশংকাজনক বলেই দাবি চিকিৎসকদের। সারা বাংলা কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রভঞ্জন জানার দাবি, “সরকারিভাবে দ্রুত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। যে সমস্ত কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখে বিঘা প্রতি ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। না হলে এমন অনেক কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন ঋণের দায়ে।”