শালবনীতে তছনছ জমির আলু, ক্ষোভ চাষীদের

মেদিনীপুর : রাত হলেই শালবনীতে ‘উধাও’ হয়ে যাচ্ছে জমির আলু। মাথায় হাত চাষিদের। দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে তাদের। জমির আলু বাড়িতে তুলতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে শালবনি ব্লকের খসলা, শিরিষবাঁধ এলাকার চাষীদের মধ্যে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে দলমার দাঁতাল বাহিনী। যার ফলে ক্ষতি হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির আলু। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যা হলেই আলু জমিতে নেমে পড়ছে ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি পাল। খেয়ে পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে জমির আলু। বনদপ্তরের দেখা না মেলার অভিযোগ তাদের। খসলা এলাকার বাসিন্দা অতনু পড়িয়া বলেন, “বাঁকুড়া থেকে হাতির পাল ফিরতে শুরু করেছে। এই সময় জমিতে আলু রয়েছে। কিছুদিন পরেই তা বিক্রি হবে। তার আগেই সন্ধ্যা হলেই হাতির পাল নেমে তা নষ্ট করে দিচ্ছে। বহু টাকা খরচ করে আলু চাষ করতে হয়। বনদপ্তরের লোকজনেরও দেখা মেলে না হাতির পালকে জঙ্গলে পাঠানোর জন্য।” জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে ৮০ টি হাতি বাঁকুড়ার জঙ্গলে ছিল। এবার তাদের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম দিয়ে ঝাড়খন্ড রাজ্যে পাঠানোর চেষ্টা করছে বনদপ্তর। ফেরার পথে নষ্ট করে ফেলছে বিঘার পর বিঘা জমির আলু। যা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এলাকার চাষীদের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ পাল বলেন, “হাতির পাল জমির ফসলের ক্ষতি করলে বা এলাকায় প্রবেশ করলেও বনদপ্তরের কোন দেখা মেলে না। ক্ষতিপূরণের জন্য কাগজপত্র জমা দিলেও আজ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি। শুধুমাত্র জেরক্স করার খরচই আমাদের নষ্ট হয়।” যদিও হাতির পাল ওই এলাকা থেকে সরে পিড়াকাটা রেঞ্জের ঘাগরাশোলের জঙ্গলে ডেরা বাঁধে। সন্ধ্যা হলে ওই এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিরা। আড়াবাড়ি রেঞ্জের আধিকারিক মলয় ঘোষ জানিয়েছেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে একটু সময় লাগে। হাতিগুলিকে সরানোর চেষ্টা চলছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page