হাতির তাণ্ডব থেকে ক্ষতি বাঁচাতে রেঞ্জারের পায়ে ধরলেন মহিলা
লাগাতার হাতির তাণ্ডব পশ্চিম মেদিনীপুরে। পথ অবরোধ, বিক্ষোভ-ঘেরাওয়ে কার্যত উত্তাল গড়বেতা। রবিবার সকাল থেকে পথ অবরোধ ও বনদপ্তরের অফিস ঘেরাওয়ের পর সোমবার ফের বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। হাতির পালকে সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। হাতি উপদ্রব গ্রামের লোকজনদের নিয়ে বৈঠক করে দ্রুত ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেইমতো সোমবার সকালে কেষ্টপুর, মন্ডল পুষ্করিনী প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে গড়বেতার ধাদিকা বিট অফিসে বৈঠকে বসেন গড়বেতা রেঞ্জের আধিকারিক সহ বনকর্মীরা। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ব্যাপক ক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, দ্রুত হাতির পালকে সরাতে হবে এলাকা থেকে। বিকল্প রুট ব্যবহার করতে হবে। বৈঠক শেষে গ্রামবাসীদের দাবি মতো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমি পরিদর্শনে যান রেঞ্জার খুরশিদ আলম গাজী সহ বনকর্মীরা। জমি পরিদর্শনের সময় এক মহিলা রেঞ্জারের পায়ে ধরে নেন। দাবি করেন, সমস্ত আলু শেষ করে দিয়েছে। ঋণ নিয়ে চাষ করেছি। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না পেলে পথে বসতে হবে। দ্রুত হাতির পালকে সরানোর দাবি করেন তারা। পাশাপাশি উচ্চ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসার দাবিও জানান তারা। বিষয়টি উচ্চ আধিকারিকদের জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জার। তিনি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিষয়টি উচ্চ আধিকারিকদের জানানো হবে। সরকারি নিয়মানুসারে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং হাতির পালকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”