Home Blog দেবের বিরুদ্ধে শঙ্কর দলুই-এর অডিও ভাইরাল, চেয়ারম্যান পদ থেকে সরালো শঙ্করকে

দেবের বিরুদ্ধে শঙ্কর দলুই-এর অডিও ভাইরাল, চেয়ারম্যান পদ থেকে সরালো শঙ্করকে

19
0
ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারীর সঙ্গে বৈরিতা তৈরি হয়েছিল ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই-এর। সেই পরিস্থিতিতে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছিল দেবের বিরুদ্ধে শঙ্কর দলুই-এর করা একটি বিতর্কিত ভাইরাল অডিও। এরপর দেবের সঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয় শনিবার। তারপরেই রবিবার বিকেলে এক নির্দেশিকা জারি করে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হলো শঙ্কর দলুইকে। তার জায়গায় আনা হলো ডেবরার প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতিকে। শঙ্কর দলুই বলেন, “দল যেটা ভালো বুঝেছে অবশ্যই করেছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার বলার কিছুই নেই।”
গত আট দিন আগে ঘাটাল এলাকার সরকারি তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল একযোগে এতগুলি পদ ছাড়ার প্রসঙ্গে। অনেকেই মনে করেছিলেন দেব হয়তো তৃণমূলও ছাড়তে চলেছেন। সম্ভাব্য এবারে হয়তো তৃণমূলের প্রার্থী নাও হতে পারেন। কারণ ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর দলুইয়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে দেবের একটা মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল যা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আকার ধারণ করেছিল। তা থেকেই দেব সরে যাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করেছিলেন। এর মাঝেই গত চার দিন আগে-ঘাটালে শঙ্কর দলুইয়ের গলার আওয়াজে একটি ফোন কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। যেখানে শঙ্কর দলুই-এর মত একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, “দেব বিভিন্ন প্রকল্পগুলিতে ৩০ শতাংশ কাটমানি দাবি করছে। দিদিকে বিষয়টা আমি জানিয়েছি।” এই অডিও নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। অনেকেই মনে করেন দেব হয়তো তৃণমূল ছাড়ছেন এবার এই অস্বস্তির কারণে। তারপরেই দেবকে নিয়ে শনিবার বিকেলে বৈঠক করেন কলকাতায় মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী । সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তারপরই রবিবার বিকেলে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শঙ্কর দলুইকে। তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় ডেবরার তৃণমূল নেতা রাধাকান্ত মাইতিকে। রাধাকান্ত মাইতি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। বিধায়ক পদ থেকে সরানোর পর একপ্রকার নিষ্ক্রিয় হয়ে ছিলেন। রবিবারের নির্দেশিকাই তাকেই ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “কি কারনে সরানো হয়েছে শঙ্করকে তা জানিনা। তবে প্রত্যেক নেতাকর্মীদের বাক সংযম রাখা উচিত এবং দলের নির্দেশ অনুযায়ী চলা উচিত। যেকোনো রকম বিশৃঙ্খলা দল বরদাস্ত করে না।”
Previous articleগোপগড় ইকো পার্কে উঁকি দিয়ে শহরের কাছ থেকে ঘুরে গেল হাতির পাল
Next articleরেস্টুরেন্টের নামে কেবিন তৈরি করে অসামাজিক কাজকর্ম রাঙামাটিতে, ভাঙলো পৌরসভা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here