তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টি হাতি। এবার সেখান থেকে ছোট ছোট পালে বিভক্ত হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরছে। এমনই ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি পাল প্রবেশ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনের ধামকুড়িয়ার জঙ্গলে। সোমবার সকাল থেকে হাতি দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় এলাকার মানুষজন। যার পরিণতিতে ঘটলো এক ব্যক্তির মৃত্যু। মৃত ব্যক্তির নাম প্রদীপ ঘোষ (৪৮)। বাড়ি চন্দ্রকোণা টাউনের ধামকুড়িয়া এলাকায়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির ওই পালের হানায় চন্দ্রকোণার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয় আলু জমির। সোমবার সকালে ধামকুড়িয়ার জঙ্গলে ডেরা বাঁধে। বিকেল থেকে ওই জঙ্গলে হাতি দেখার জন্য ভিড় জমান অতিউৎসাহিত হয়ে কিছু মানুষজন। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ ঘোষও। সন্ধ্যার ঠিক আগের মুহূর্তে হাতির পাল যখন জঙ্গল ছেড়ে খাবারের সন্ধানে কৃষি জমিতে নামার চেষ্টা করে। সেই সময় মানুষজনদের দেখে তাড়া করলে প্রদীপকে নাগালে পেয়ে শুঁড়ে ধরে আছাড় মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চন্দ্রকোণা রেঞ্জের আধিকারিক সহ বনকর্মীরা। উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রকোণা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার সতর্কবার্তা দিলেও হুঁশ ফেরেনি এখনও। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ওই এলাকায় হাতি আসেনি। ফলে দেখার জন্য অতি আবেগে এই দুর্ঘটনা। চন্দ্রকোণা রেঞ্জের আধিকারিক তমাল কুমার মুখার্জী জানিয়েছেন, “হাতির দ্বারা ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মানুষজনকে বিভিন্ন সতর্ক করা হচ্ছে হাতি থাকলে জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য। হাতির পালের গতিবিধির উপর বনকর্মীরা নজরদারি রেখেছেন।”