জঙ্গল রক্ষায় জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা পেলেন প্রায় ১৫ কোটি টাকা, চাকরি ২৭ জনের

জঙ্গল রক্ষা করেছিলেন গ্রামের মানুষজন। সেই গাছ বড় হতে বিক্রি হয়। তাতে লভ্যাংশ মিলল ১৪ কোটি ৯২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬৮৬ টাকা। মঙ্গলবার প্রশাসনিক সভায় যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যার হাতে সেই টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের সদস্যের হাতেও বন স্বেচ্ছাসেবকের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বন বিভাগের ৯ টি রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন জঙ্গলে গাছ কাটা হয়েছিল। সেই গাছ বিক্রি করে ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ বন কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়। সেই হিসেবেই এবছর কমিটিগুলি প্রায় ১৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ পাচ্ছেন। এতে জঙ্গলমহলের মানুষজনদের যেমন আর্থিকভাবে কিছুটা উপকার হবে, তেমনই জঙ্গল রক্ষায় তাদের আগ্রহ বাড়বে। তবে জঙ্গলে আগুন না লাগিয়ে, নির্বিচারে গাছ না কেটে রক্ষা করলে লভ্যাংশের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। 

পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে বহু জনের। তাদের পরিবারের সদস্যের হাতে বন স্বেচ্ছাসেবকের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১২ হাজার টাকা বেতনে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবে। মেদিনীপুর ও রূপনারায়ন বন বিভাগে মোট ২৭ জন এই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন, “হাতির হানায় মৃত ১৪ জনের পরিবারের সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে। যৌথ বন পরিচালন কমিটিগুলি লভ্যাংশ পেয়েছেন প্রায় ১৫ কোটি টাকা।” রূপনারায়ণ বন বিভাগের এডিএফও জুঁই অধিকারী বলেন, “মোট ১৩ জন নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। তার মধ্যে আজকে আটজনকে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আগামীকাল দেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page