সিনিয়র চিকিৎসকদের অভাবে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভাঙচুর
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে গেল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা ভবনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হলো বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি রবিবার রাত দশটা নাগাদ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হয় সন্তান সম্ভবা রিনা খাতুন। বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেণেডিহি গ্রামে। সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। জানা গিয়েছে, রিনা নাবালিকা। সন্তান প্রসবের পর রক্তক্ষরণ জনিত কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে স্তানান্তরিত করা হয় হাসপাতালের সিসিইউতে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতার পরিবারের লোকজনেরা। পরে বাঁশ, লাঠি, ইট নিয়ে হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে চালানো হয় ভাঙচুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মাতৃমা বিভাগে। ভাঙচুরের ঘটনায় রাতেই সাত জনকে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। তবে রোগীর পরিবারের লোকজনের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে। তাদের অভিযোগ সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকেন না হাসপাতালে। জুনিয়র চিকিৎসকরাই রোগীর চিকিৎসা করেন। যে কারণেই মৃত্যু ঘটেছে। উল্লেখ্য, এর আগেও হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকেন না বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা।