সিল করার পরও বনদপ্তরের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে কাঠ মিল, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস বনদপ্তরের
কয়েক মাস আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে অভিযান চালিয়েছিল বনদপ্তর বেআইনি ভাবে চলা কাঠ মিলগুলিতে। তাতে বহু কাঠ মিল সিল করে দিয়েছিল। তারপরও সেই সিল ভেঙে রমরমিয়ে চলছে কাঠ মিল। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী এলাকায়। ওখানে কংসাবতী নদীর তীরে একটি কাঠ মিল রয়েছে, যা কয়েক মাস আগেই সিল করে দিয়ে এসেছিল বনদপ্তর। তারপরও কিভাবে সিল ভেঙে চালাচ্ছে ব্যবসা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বনদপ্তর কি সত্যিই জানেন না? নাকি গোপন কোনো আঁতাত রয়েছে? এক বন আধিকারিক মানছেন, ওই মিলটির কোন লাইসেন্স না থাকায় সিল করে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গাছ কাটা এবং পাচার নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে জেলায় অভিযান চালায় বন দফতর। যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছিল অবৈধ কাঠ চেরাই মিল। বিনা লাইসেন্সে চলছিল বহু মিল। সেই সমস্ত কাঠ মিলগুলি সিল করে কাঠের গুঁড়ি (লগ) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তেমনি কনকাবতীতে কংসাবতী নদীর তীরে থাকা একটি কাঠ মিল বেআইনিভাবে চলায় তা সিল করে দিয়ে এসেছিল বনদপ্তর। যা জঙ্গল থেকে দু’কিলোমিটারের মধ্যে। ওই মিলে বেআইনি কোনো গাছ চেরাই হচ্ছে কিনা তারও নজরদারি নেই বলেই অভিযোগ উঠছে বনদপ্তরের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক শান্তনু কুলভিকে ফোন করা হলে তিনি জানান, “ওই মিলের কোন লাইসেন্স নেই। যে কারণেই সিল করে দেওয়া হয়েছিল। যদি সিল ভেঙে আবার চালু করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”