পরিদর্শনে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার

নির্বাচনী আবহের মধ্যে রবিবার ছুটির দিনে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ খড়্গপুরের রেলওয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র। তার আসার আগে সম্ভাব্য পরিদর্শনের স্থানগুলিতে থাকা দোকান বন্ধ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। একাধিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। তারপরেই সেখানে হাজির হলো খড়্গপুরের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সেই রাস্তায় ঢেকে রাখা কাপড় ছিঁড়ে সরিয়ে দিলেন। জেনারেল ম্যানেজারকে রাস্তায় আটকে ব্যাপক বিক্ষোভ তৃণমূলের। তুমুল উত্তেজনা ডিআরএম অফিস চত্বরে। তৃণমূলের অভিযোগ, “সম্প্রতি রেলমন্ত্রী খড়্গপুর শহরে বিজেপির হয়ে প্রচার সেরে ফিরে গিয়ে আধিকারিকদের ছুটির দিনে পাঠাচ্ছেন রেল কর্মী ও রেলের এলাকায় বিজেপির জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করতে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করছি।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার জেনারেল ম্যানেজারের। 
রবিবার ছুটির দিনে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ খড়্গপুরের বোগদা সহ বিভিন্ন বাজার এলাকা পরিদর্শনের পর খড়গপুর শহর জুড়ে রেল এলাকায় থাকা রেলওয়ে কোয়ার্টারগুলি পরিদর্শনের কর্মসূচি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রর। সেই পরিদর্শনের আগে ওই সংলগ্ন এলাকায় থাকা বিভিন্ন ছোট বড় দোকানগুলি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে কাপড় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন রেলওয়ে আধিকারিকরা। পরিদর্শন কালে জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গী ছিলেন ডিআরএম কে আর চৌধুরী সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা। হঠাৎ করে সেখানে হাজির হয়ে যায় জেলা তৃণমূলের নেতা দেবাশীষ চৌধুরী সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বিভিন্ন রাস্তায় রেল কর্মী আধিকারিকদের টাঙানো সেই কাপড় ছিঁড়ে সড়িয়ে দেয়। এরপরে রাস্তায় ঘুরে ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। জেনারেল ম্যানেজার “গো ব্যাক” স্লোগান দেওয়া সহ তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। দেবাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, “ছুটির দিনে কিসের পরিদর্শন? আসলে গত শুক্রবার খড়গপুর শহরে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি গিয়ে রেলের এই সমস্ত আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন রেলওয়ে এলাকায় থাকা রেল কর্মী ও লোকজনকে বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করতে। সেই কর্মসূচিতে রেলের বিভিন্ন ওয়ার্ড কোয়াটার গুলিতে ঘোরার জন্য এসেছেন জেনারেল ম্যানেজার। এই পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রপতির মত ভিভিআইপি রাস্তা তৈরি করতে দোকান বাজার বন্ধ করে সেখানে কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেসব ছিঁড়ে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।” তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র। তাঁর দাবি, এটা রুটিন পরিদর্শন। অহেতুক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page