কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহ পৌঁছালো মেদিনীপুরে

কুয়েতে বহুতলের আগুনে মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার দ্বারিকেশ পট্টনায়েকের। কফিনবন্দী দেহ পৌঁছালো মেদিনীপুর শহরের বাড়িতে। পরে দাঁতনের খন্ডরুই-এ গ্রামের বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। শনিবার সকালে দমদম বিমানবন্দর থেকে সাড়ে দশটা নাগাদ দেহ এসে পৌঁছায় মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী এলাকার বাড়িতে। কফিন বন্দি দেহ পৌঁছাতেই বাড়ির লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মেদিনীপুর থেকে রওনা দেয় গ্রামের বাড়ি দাঁতন থানার তুরকা এলাকার উদ্দেশ্যে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, বেলদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। গ্রামের বাড়িতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মেদিনীপুরে সমবেদনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন সাংসদ জুন মালিয়া। তিনি বলেন, “কুয়েতে একটা বড় সংখ্যায় ভারতীয় কর্মী ও শ্রমিকরা কাজ করেন। কিন্তু তারা থাকে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে। যে বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার পরিকাঠামো খুবই খারাপ ছিল। কয়েক ডজন গ্যাস সিলিন্ডার ছিল সেখানে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ট্র্যাপে পড়ে। তাই ভারত সরকার ও কুয়েত সরকারকে বলবো এই ধরনের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শ্রম আইন আরও কঠিন করার জন্য। বাসস্থানের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন কুয়েত সরকারের। আমাদের বিদেশ মন্ত্রকেরও এখানে একটা ভালো ভূমিকা রয়েছে। এই জায়গাগুলোতে এগিয়ে আসা উচিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলিকেও।” মৃতের শ্যালক সায়ন্তন পট্টনায়ক বলেন, “একটা পরিবার পুরো শেষ হয়ে গেল। সারা জীবন আমরা ভাগ্নী ও দিদির পাশে থাকার চেষ্টা করব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page