শুরু হতে চলেছে অন্নপূর্ণা ভান্ডার ৩০০০ টাকা! কবে থেকে আবেদন জানানো যাবে তার দিনক্ষণ উল্লেখ করে টাঙানো হল ফ্লেক্স। শনিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপালে। ফর্মের জন্য ‘মিথ্যাবাদী’ বিজেপি নেতাদের কাছে যোগাযোগ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ফ্লেক্সে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার চালিয়েছিল তৃণমূল। আর তার পালটা ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’-কে সামনে রেখে প্রচার ছিল বিজেপি নেতাদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’-কে সামনে রেখেছিলেন ভোট প্রচারে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালও প্রচারে বেরিয়ে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে মাসে ৩০০০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মেদিনীপুরে আসনটি বিজেপির হাতছাড়া হলেও কেন্দ্রে পুনরায় ক্ষমতায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। ফলে ভোট প্রচারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্নপূর্ণা ভান্ডারের তিন হাজার বিজেপি চালু করবে না কেন? যা নিয়ে তরজা তৃণমূল-বিজেপির। স্থানীয় গ্রামের মহিলা হীরা পাত্র বলেন, “বিজেপির লোকজন ভোট প্রচারে আমার বাড়ি গিয়ে বলেছিল, কেন্দ্রে মোদি সরকার এলে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে মহিলাদের। এখন তো কেন্দ্রে মোদি সরকার, তাহলে দিক এবার।” যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের পোস্টার রাজনীতিতে মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর সদর ব্লকের মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের গুড়গুড়িপাল পূর্ব গ্রাম সংসদ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দখলে চলে যায়। লোকসভা নির্বাচনের ওই সংসদে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল তৃণমূলের জুন মালিয়ার থেকে ৩ ভোটে এগিয়ে। তারপরই পড়লো অন্নপূর্ণা ভান্ডারের ফ্লেক্স। তাতে লেখা রয়েছে, “গুড়গুড়িপাল পূর্ব গ্রাম সংসদে আগামী ১লা জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার ৩০০০ টাকা। নিচে লেখা রয়েছে আবেদন করতে পারবেন ১৫ই জুন থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত। ফর্মের জন্য যোগাযোগ করুন বিজেপির মিথ্যাবাদী নেতাদের কাছে। প্রচারে গুড়গুড়িপাল পূর্ব গ্রাম সংসদ।” কারা টাঙালোর এই ফ্লেক্স? বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজনই এই ফ্লেক্স টাঙিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফ্লেক্স দেখে তার সামনে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম বিশই বলেন, “কারা ফ্লেক্স টাঙিয়েছে বলতে পারব না। তবে বিজেপির কার্যকর্তারা ভোট প্রচারে বেরিয়ে বলেছিল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে অন্নপূর্ণা ভান্ডার প্রকল্পে মহিলাদের ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ফলে গ্রামবাসীরা এখন দাবি করছে।” বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুজিত জানা বলেন, “তৃণমূলের নেতারা এইসব পোস্টার দিয়ে এলাকায় বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। মানুষ তা মেনে নেবে না। আমরা বলছি রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে ৫০০০ টাকা করে মাসে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে মাতৃশক্তিকে দেওয়া হবে।”