RG Kar :আর জি করে রাতের ভাঙচুরের পর মেদিনীপুর মেডিকেলে বেড়ে গেল পুলিশি নিরাপত্তা, চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যাচ্ছে মেদিনীপুর মেডিকেল থেকে রোগী

 

Medinipur :
আর জি কর (RGKar) মেডিকেলে বুধবার রাতে ভাংচুরের ঘটনার পর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ(Medinipur Medical College) হাসপাতালে বেড়ে গেল পুলিশি নিরাপত্তার বহর। দুপুরের পর প্রচুর পরিমাণে পুলিশ
বাহিনী বিছিয়ে দেওয়া হল এমার্জেন্সি থেকে শুরু করে হাসপাতাল চত্বরে। যদিও
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর এখন এই মুহূর্তে খাঁ খাঁ করছে। গত তিনদিন
ধরে বহু রোগী এসে পরিষেবা না পেয়ে ফিরে গিয়েছে ।ফলে এই মুহূর্তে আর মেদিনীপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Medinipur Hospital) রোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে দেখাই যাচ্ছে না। যে কয়েকজন
এসেছিল তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইমার্জেন্সি(emargency) থেকেই অসুস্থ অবস্থায় ফিরে
গিয়েছেন রোগীরা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বোঝাতে গিয়ে আরো একবার ফিরে
এসেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

মেদিনীপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে হাসপাতাল সুপারের রুমের সামনে কয়েকদিন ধরেই ধরনা
অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন। মাঝেমধ্যেই মেদিনীপুর শহরে রাস্তায় তারা মিছিল নিয়ে
বের হচ্ছেন। বুধবার রাতে রাত দখল কর্মসূচি যে আন্দোলন (RGKar Movement) সেখানেও গভীর রাত পর্যন্ত
আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তারাও। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরো
একবার বোঝাতে গেলে সিনিয়র চিকিৎসকদের জানিয়ে দেন জুনিয়াররা -যতক্ষণ না পর্যাপ্ত
নিরাপত্তার ব্যবস্থা মেদিনীপুর মেডিকেলে হচ্ছে তারা চিকিৎসাতে হাত লাগাবেন না।

 

মেদিনীপুর
মেডিকেলের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী জানিয়েছেন-” মেদিনীপুর মেডিকেলেও
নিরাপত্তার পরিকাঠামো কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। পুলিশ সুপার(police super) এর কাছে বেশ কিছু জিনিস
সেজন্য দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে আমরা কথা বলছি সকলের সঙ্গে।”

 

হাসপাতালে
এসে ফেরত যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগীরা। আউটডোর পরিষেবা(Outdoor Facility) একেবারেই বন্ধ।
এমার্জেন্সিতে মাঝেমধ্যে ডাক্তাররা বসলেও বেশিরভাগ সময় সিনিয়র চিকিৎসকদের দেখাই
যাচ্ছে না।রোগীর পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন-” স্ট্রোক হয়ে যাওয়ার মত
পেসেন্ট কে এনেও এমার্জেন্সি থেকে ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে কর্মীরা জানাচ্ছেন
ডাক্তার নেই এখন”

 

তবে দুপুরের পরে মেদিনীপুর
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(Medinipur Medical college hospital) পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাতে থাকে ৷ হাসপাতালের এমার্জেন্সি
থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রহরা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ যা এর আগে কখনো দেখা যায়
নি ৷ হাসপাতাল চত্বর ছিল প্রায় লোকজন শুন্য ৷ তবে পুলিশের(police) প্রহরা ছিল চোখে পড়ার মতো
৷ 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page