RG Kar news :বেটি-দের বাঁচাতে না পারলে, কন্যাশ্রী, বেটি পড়াও কোন কাজে লাগবে না”: ঘাটালে বললেন দেব
“বেটিদের বাঁচাতে না পারলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী,
বেটি পড়াও এর কোন মানে হয় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে সব
রাজনৈতিক দল ও মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এই
ইস্যুতে।” -ঘাটালে একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমন প্রতিক্রিয়া
দিলেন সাংসদ দেব তথা (Dev)দীপক অধিকারী (Deepak Adhikari)।
বুধবার দুপুরের
পর পশ্চিম মেদনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Ghatal super speciality Hospital)উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদ
দেব। সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা ও আধিকারিকগণ। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি
হাসপাতাল এদিন ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই মেশিন ও
পরিষেবার প্রয়োজন ছিল ঘাটালে। উদ্বোধন করে ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির
চেয়ারম্যান হিসেবে একটি বৈঠক করেছেন দেব। এদিন উদ্বোধন প্রসঙ্গে দেব বলেন-”
এই ডায়ালিসিস পরিষেবার জন্য আগেই স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। সেই মতো
আজকে উদ্বোধন হলো। খুব শীঘ্রই সিটি স্ক্যান মেশিন ও ব্লাড সেপারেটর পরিষেবা চালু
হয়ে যাবে। মূল লক্ষ্য এই হাসপাতালকে এক নম্বর পরিষেবার জায়গা তৈরি করা।”
এরপর এই
সাংবাদিকদের সামনে আরজিকর (RG kar issue) ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেব তথা দীপক অধিকারী।
সাংবাদিকদের আরজিকর ইস্যুতে প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন-” এই ঘটনা দুঃখজনক ও
নিন্দনীয়। সকলেরই প্রতিবাদ জানানো উচিত। সেই আবেগেই আন্দোলনটা হচ্ছে। এই
আন্দোলনের মাধ্যমে যা দরকার তা হলো আর কারো নাম যেন তিলোত্তমা (Tilottoma) বা নির্ভয়া (Nirbhoya) না
রাখতে হয়। এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে গেলে দুষ্কৃতীরা যেন ভয় পায়। এটা শুধু বাংলার
ইস্যু নয় সারা দেশের ইস্যু। কন্যাশ্রী (kanyashree) রূপশ্রী (rupashree) বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও -এর কোন
মানেই হয় না, যদি না আমরা বেটিদের বাঁচাতে পারি।
কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে
একটি বৈঠক করা। কিন্তু এমন একটা রাজনীতি চলছে যেখানে আমার বন্ধু উল্টো দলে থাকলে
তাকে বন্ধু বলতে পারব না। যাইহোক দেশের শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি।
এটা শুধু বাংলার লজ্জা নয় সারা দেশের লজ্জা। এই আন্দোলনকে এমন ভাবে দেখতে চাই
যাতে ১০০ বছর অব্দি মানুষ কমপক্ষে মনে রাখবে, মনে করবে যে এর
কারণে এই ধরনের বিল পর্যন্ত পাশ হয়েছিল। এবং এর জেরে কোনদিন আর কোন মেয়ের নাম
তিলোত্তমা বা নির্ভয়ার নাম না দিতে হয়।”