Flood : দুদিনের টানা বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় ঘাটাল সহ জেলা, বহু রাস্তা ও চাষ জমি জলের তলায়, ভেঙে পড়ছে বাড়ি
মেদিনীপুর:
গত শুক্রবার রাত থেকে একনাগাড়ে ঝোড়ো হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে জল
বেড়েছে ঘাটালের শিলাবতী, মনসুকার ঝুমি ও
চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই কেঠিয়া নদীর জলস্তর। ইতিমধ্যেই ঘাটাল পৌরসভার ১৬, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু ঢালাই রাস্তা এবং চন্দ্রকোনার
বেশকিছু গ্রামীন পিচ রাস্তা সহ রাজ্য সড়ক ডুবেছে জলের তলায়, জলে ডুবেছে মহাকুমার বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি। পুজোর আগে এই
দুর্যোগে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দাদের।
জেলার কেশপুর মেদিনীপুর সদর সহ বিভিন্ন এলাকাতেও প্রবল বর্ষণে কাঁচাবাড়ি
ক্ষতিগ্রস্ত। ইমারজেন্সি ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের
আধিকারিকদের সঙ্গে জেলা শাসক খুরশেদ আলী কাদেরী। বৈঠক করে তিন মহাকুমাতে
কন্ট্রোলরুম খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলার সাতটি পৌরসভা
এলাকাতে। প্রথম ধাপে ১৬ হাজার ত্রিপল বিলি করা হলো জেলা জুড়ে।
ঘাটাল ,চন্দ্রকোনা ও দাসপুরের বেশ কিছু নিচু এলাকায় প্রবল বৃষ্টির
ফলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। অন্যদিকে চন্দ্রকোনার কালিকাপুর থেকে মেদিনীপুর
রাজ্য সড়কের পিংলাস এলাকায় রাজ্য সড়কে উঠেছে জল, ফলে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্যদিকে ওই পিংলাস গ্রামে জলবন্দী ৭ টি
পরিবার। গ্রামীণ রাস্তা গুলি জলের তলায়, এক কথায় পুজোর মুখে আবারও বন্যার আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে ঘাটাল
মহকুমাবাসী। জেলা শাসক খুরশেদ আলি কাদেরী জানিয়েছেন-“ সমস্ত স্থানে
কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে ৷ যেখানে যা প্রয়োজন ত্রিপল ও কাবার পাঠানো হয়েছে ৷ ছুটি বাতিল
করে সকলকে কাজে নামানো হয়েছে ৷ উদ্ধারের প্রয়োজন হলে সব প্রস্তুত রয়েছে ৷ কোনো সমস্যা
হবেনা ৷ সোমবারও আবহওয়া খারাপ থাকবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ৷ ”
মেদিনীপুর
পৌর এলাকা সহ কেশপুর ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকাতেও একই অবস্থা। প্রবল বর্ষণের কারণে
বহু কাঁচা বাড়ি ক্ষতির মুখে। সেই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের ত্রিপল বিলি করা শুরু
হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার সাতটি পৌরসভা সহ তিনটি মহকুমার বিভিন্ন স্থানে।
জেলাশাসক দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্স করে বিভিন্ন আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার
নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিপূর্বেই খাদ্য সামগ্রী মজুদ করে দেওয়া হয়েছিল, ত্রিপল প্রথম ধাপে ১৬ হাজার বিলি করা হয়েছে জেলা জুড়ে
রবিবার বেলা একটা পর্যন্ত। আরো অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন
জেলাশাসক। ১৬ সেপ্টেম্বর তথা সোমবারও প্রবল বর্ষণ হবে এমন জানিয়ে আগাম প্রস্তুতি
নেওয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মেদিনীপুর পৌরসভাতেও কন্ট্রোল রুম খুলে ত্রিপল
বিলি শুরু হয়েছে। পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানিয়েছেন-” বহু বাড়িতে
জল ঢুকেছে, অনেক স্থানে কাঁচাবাড়ি ক্ষতি
হয়েছে। তাদের যারা অন্যত্র সরে যেতে চান তাদের বিভিন্ন স্কুল ঘরে স্থান করে
দেওয়া হয়েছে। খাবার সরবরাহ করা হবে সেখানে। সেই সাথে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে
সর্বত্র।”
অন্যদিকে প্রবল বর্ষন
হলেই মেদিনীপুর শহরে জল নিকাশী একটা সমস্যা দেখা যায় ৷ সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে মহানালা
পরিষ্কার করার চাপ দেখা যায় ৷ সেই পরিস্থিতি এবারও দেখা গিয়েছে ৷ মেদিনীপুর শহরের ৯
নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলার সৌরভ বসু বিভিন্ন নিকাশীগুলি দ্রুত পরিষ্কার করে
সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন ৷
Flood, Ghatal, Paschimmedinipur, Medinipur, Keshpur, Heavy rain, rainwater, waterlogging, houses damaged, Medinipurlive, Daspur, Weather,