Mamata Banerjee : “বৃষ্টি হলে ঝাড়খন্ডকে বাঁচায় ও বাংলাকে ডোবায়, এটা ম্যান মেড বন্যা”: ঘাটালে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
ঘাটাল:
হুগলি সহ পশ্চিম মেদনীপুর জেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভয়াবহ যে বন্যা পরিস্থিতি তার জন্য পুনরায়
কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনকেই দায়ী করলেন তিনি। হুগলির বেশ কয়েকটি এলাকা সহ পশ্চিম
মেদিনীপুরের সব থেকে বন্যাকবলিত ঘাটাল এলাকায় ঘুরে কথা বললেন মানুষের সঙ্গে। পরে
চন্দ্রকোনা টাউনহয়ে কেশপুর এর ওপর দিয়ে মেদিনীপুর শহরে বুধবার সন্ধ্যা সাতটা
নাগাদ হাজির সার্কিট হাউসে। সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে নিয়ে বন্যা
পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘাটালে এদিন
বিকেলে হাজির হয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলে নিয়ে সাধারণ
মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন-”
ঘাটালের সব স্থানে এখন যাওয়া যাচ্ছে না। এবারে জল অনেকটা বেশি ছেড়েছে। ২০০৯
সালের পর এত জল কখনো ছাড়া হয়নি। বলতে বাধ্য হচ্ছি, ফরাক্কা ট্রেজিং হয়নি দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে। ডিভিসি-ও হয় না। পলি জমে খারাপ
অবস্থা হয়ে রয়েছে ওইগুলো। না হলে আরো দু লক্ষ কিউসেক জল ধরতে পারতো ওখানে।
ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হলে ওরা ঝাড়খন্ডকে বাঁচায়। আর বাংলার ওপরে জল ছেড়ে দেয়।
পরশুদিন হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম আমরা কম করে জল ছাড়তে বলে। তারপরেও সাড়ে
তিন লক্ষ কেউসেক জল ছেড়েছে ওরা। ২০০৯ সালের পর এই এত পরিমাণ জল ছাড়ল যা আমরা
দেখে স্তম্ভিত ডিভিসি-র ব্যবহারে। এটা ম্যান মেড বন্যা। বাংলাকে বঞ্চনা করেছে অন্য
জায়গা কে বাঁচাতে গিয়ে। ওরা ঝাড়খন্ডকে বাঁচাচ্ছে। অন্য জায়গা কে বাঁচার তাতে
আমাদের আপত্তি নেই। ওদের কারণেই এই ঘাটালে বন্যা। মাস্টার প্ল্যান গত কুড়ি বছর
ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে রয়েছে। ওরা সেটা করল না। যাইহোক রাজ্য সরকারের
পক্ষ থেকে আমরা ডিপিআর করছি। দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান
আমরা করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী দু বছরের মধ্যে তার সম্পন্ন হয়ে যাবে।”
তবে এদিনও ঘাটালের পরে দাসপুরে কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে দাসপুরের একের পর এক গ্রাম। বেশ কয়েকটি স্থানে দুর্বল ছিল বাঁধ, তারমধ্যে একটি স্থানে ভেঙ্গে গেল কাঁসাই নদীর বাঁধ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের হোসেনপুর এলাকায় এই নদী বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভাঙ্গার ফলে সামাট রাজনগরের বেশ কিছু এলাকা এবং হোসেনপুর প্লাবিত হয়েছে। ক্রমশ বেড়েছে সেথানে জল।