Flood : ত্রাণের জন্য হাহাকার ঘাটালে! জেলা শাসকের হাত থেকেই ত্রান ছাড়িয়ে নেওয়ার উপক্রম

 

ঘাটাল:
ঘাটাল মহকুমা জুড়ে প্লাবিত পরিস্থিতি চরম সংকট তৈরি করেছে। প্রশাসনিক টিম নিয়ে
জেলাশাসক ও মুখ্য সচিব সারাদিন বন্যার জলে ভেসে রইলেন। খাবার দিয়ে শেষ করতে
পারলেন না।ত্রাণের জন্য হাহাকার বেড়েই চলেছে। ত্রাণ নিয়ে আরো একদিকে ঘুরলেন
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। মানুষকে সুস্থ রাখতে ভ্রাম্যমান মেডিকেল ট্রিটমেন্ট
ক্যাম্প শুরু করে দিল প্রশাসন। পানীয় সংকট মেটাতে বাড়ানো হচ্ছে আরো পানীয় জল
সরবরাহ কেন্দ্র। ত্রাণ শিবিরে হাজির হলেন প্রায় ৮০০০ মানুষ।

বৃহস্পতিবার
এর মতো শুক্রবারও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মুখ্য সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত ও জেলাশাসক
খোরশেদ আলী কাদরী
ত্রানের বিভিন্ন
সামগ্রিক কয়েকটি নৌকাতে বোঝাই করে রওনা দিয়েছিলেন ঘাটালের বিভিন্ন প্লাবিত
এলাকার দিকে। সকাল থেকেই সারাদিন নৌকাতে করে সেই সামগ্রী নিয়ে ঘুরলেন তারা। এমন
অনেক জায়গায় হাজির হলেন যেখানে প্লাবিত বাসিন্দারা ঘাটাল শহরের সঙ্গে একেবারে
যোগাযোগ ছিন্ন অবস্থায় বা জলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। জল কমলেও উদ্ধার হওয়ার মতো
পরিস্থিতি নেই। জলবন্দি ডাঙ্গা এলাকাতে সাবমারসিবল বা পাম্প থাকলেও বিদ্যুৎ ছিহ্ন
থাকায় পানীয় জলের সংকট হয়েছে। সব জায়গায় এই বন্যার জল পার হয়ে যাওয়ার জন্য
নৌকো বা ডিঙ্গি পর্যাপ্ত নেই। এমনই একটি এলাকা ঘাটালের আজবনগরে প্রশাসনের এই
আধিকারিকদের ত্রাণের টিম হাজির হতেই কাড়াকড়ি শুরু হয়ে গেল ত্রাণের জিনিসপত্র
নিয়ে। যেখানে ত্রান বিলি করতে গিয়ে বিষধর সাপ পর্যন্ত ভেসে থাকতে দেখলেন
আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণ ত্রাণের শুকনো খাবার ত্রাণকিট ত্রিপল বিলি করেছেন। বিলি
করলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসও।

 

 

দুপুর
পর্যন্ত এই সমস্ত বিলিবন্টন করার পর ঘাটাল পৌরসভার উদ্যোগে চালু করা কমিউনিটি
কিচেনেও হাজির হলেন আধিকারিকরা। কয়েক হাজার মানুষকে সেখানে খিচুড়ি রান্না করে
বিলি করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে পানীয় জল। আধিকারিকরা নিজে হাতে সেই সমস্ত খাবার
বিলি করেছেন। 
জেলাশাসক
খুরশেদ আলী কাদেরী জানিয়েছেন-“বন্যার জল কমতে শুরু করেছে ঠিকই কিন্তু
পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই মুহূর্তে মানুষের জন্য পানীয় জল পর্যাপ্ত যোগানোর প্রাণপণ
চেষ্টা হচ্ছে। শুকনো খাবার প্রচুর দিচ্ছি। ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম রেডি করা
হয়েছে। পশু খাদ্য ৮০ মেট্রিক টন বিলি হচ্ছে।”

 

 

আধিকারিকরা
জানিয়েছেন
, জেলা জুড়ে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ
প্লাবিত। ত্রাণ শিবিরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৮ হাজার মানুষ। চাষের জমি ক্ষতি
হচ্ছে প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর। প্রায় তিন লক্ষ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেই
হিসেবে। ৮০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎগ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে
জলে ডুবে থাকার কারণে। সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। সকলেরই চিকিৎসা চলছে।
প্রায় ৮০ জন প্রসূতিকে উদ্ধার করা হয়েছে বন্যা প্লাবিত এলাকা থেকে। পানীয় জলের
পাউচ তৈরির গতি বাড়ানো হয়েছে। ঘাটাল সহ বিভিন্ন এলাকায় আরো অতিরিক্ত একাধিক
কমিউনিটি কিচেন চালু করা হচ্ছে শনিবার থেকে। তবে ইতিমধ্যেই প্লাবিত এলাকার জন্য ৫০
হাজার এর বেশি ত্রিপল বিলি করে দেওয়া হয়েছে।

 

জেলাশাসক
জানিয়েছেন- “এমনিতেই প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তারপর নতুন করে শনিবার
থেকে আবহাওয়ার অবনতি হওয়ার একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আরও সমস্যা বাড়তে
পারে। আমরা তৈরি করছি নিজেদের।”


flood situation near Ganges, above normal flood alert, flood, severe flood alert,west bengal flood alert,west bengal flood,west bengal flood news, Ghatal, Ghatal flood, Ghatal Dev, dev,Keshpur, Relief,


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page