RGkar : জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরু হতেই উল্টো প্রতিক্রিয়া মেদিনীপুর মেডিকেলে! বিক্ষোভে উত্তাল ভুক্তভোগী রোগীদের
মেদিনীপুর হাসপাতালে বিক্ষোভ রোগী ও তার পরিবারের লোকেদের |
Medinipur :
জুনিয়র ডাক্তারদের পুনরায় আন্দোলন শুরু হতেই এবার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগী ও তার পরিবারের লোকজনদের চরম বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের ধারণা অবস্থান
মঞ্চের সামনে। সামাল দিতে হিমশিম পুলিশের। রোগীর লোকেরা জানিয়ে দেয়-”
আন্দোলনকারীদের দাবিতে সহমত থাকলেও হাসপাতালে পরিষেবা বারবার বন্ধ করার অধিকার
নেই। এটি প্রতিদিনই ভোগান্তি হচ্ছে রোগীর ও পরিবারের লোকজনদের। তাই অবিলম্বে
পরিষেবা চালু না করলে পুরো হাসপাতালের দরজা বন্ধ করে দেবো আমরা।”
বৃহস্পতিবার
নতুন করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতি ঘোষণা
করে দেয়। এর জেরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোরে টিকিট কাউন্টার
পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাজারের বেশি রোগীর লোকেরা এসে দীর্ঘ লাইনের পরে
পরিস্থিতি দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেমোথেরাপি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন রকম
জরুরি পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় বিক্ষোভ উত্তেজনা শুরু হয়ে যায় রোগীর
লোকেদের মধ্যে। পরিস্থিতি দেখে সেখানে হাজির হয়ে যায় কোতোয়ালি থানার বিশাল
পুলিশ বাহিনী। জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চের সামনেই এই বিক্ষোভ উত্তেজনা বাড়তে দেখে
পুলিশ জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার দিকে জোর দেয়। বলে বিক্ষোভকারীদের বোঝানো
শুরু করে পুলিশ। হাজির হয় কোতোয়ালি থানার আইসি নিজেও।
বিক্ষোভ রত
এক রোগী সেখ আপসার বলেন-” আমি গরবেতা থেকে এসেছি। টিউমার বড় হয়ে গিয়ে চরম
সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমার। আমি এতদূর থেকে চরম কষ্ট পেয়ে এখানে হাজির
হয়ে সকাল থেকে লাইন দেয়ার পর জানতে পারছি ডাক্তাররা দেখবেন না। তাহলে আমাদের মত
গরীব মানুষ , যারা সরকারি হাসপাতালের নির্ভর করে
তারা কোথায় যাব? ” খড়্গপুরের
বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন-“জুনিয়র ডাক্তার রাজ্যে পরিষেবা দিয়েছে
তাদেরকে স্যালুট করি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা খুবই খারাপ। তারা এখানের
বন্ধ হওয়ার সুযোগ পেলেই প্রাইভেট প্র্যাকটিস জোর বাড়াচ্ছেন। এখান থেকে রোগীদের
প্রাইভেট চেম্বার নার্সিংহোমে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পরিষেবা একেবারে
খারাপ। আজকে আমার মায়ের কেমোথেরাপি রয়েছে। এইভাবে যদি বন্ধ হয় তাহলে তো মুশকিল
হয়ে যাবে। কোন নোটিশ ছাড়াই এভাবে হঠাৎ করে বন্ধ করলো কিভাবে? এমন হলে পুরো হাসপাতাল বন্ধ করে দেবো আমরা”
অন্যদিকে
কর্মবিরতি শুরু করার জুনিয়ার ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-“আমরা সারা
রাজ্যজুড়ে এ কর্মবিরতি শুরু করেছি। তবে এমার্জেন্সি পরিষেবাতে থাকবো। সিনিয়র
চিকিৎসকরা আউটডোর পরিষেবা দেবেন। আউটডোর বন্ধ করার কথা আমরা বলিনি। শুধু আমরা
পরিষেবা তে থাকবো না।”