Ghatal Flood: নৌকোতে ভেসেই প্রতিমা চলল মন্ডপে,বন্যার জল কমতেই ঘাটালের স্থলপথ নষ্ট হয়ে কঙ্কালসার
ঘাটাল : প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা প্লাবিত ছিল। বর্তমানে বন্যার জল কমে গিয়েছে। তবে একেবারেই স্বাভাবিক এখনো নয়। বন্যার জলের স্রোতে বহু রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গাতে এখনো পুজোর মন্ডপ জলে ডুবে রয়েছে। বন্যার আগে যেখানে মন্ডপ তৈরি হচ্ছিল, সেখানে অনেকেই আছেন পুজো কমিটির যারা পৌঁছতে পর্যন্ত পারছেন না। এক কথায় বন্যার জল কমলেও পুজোর পরিবেশ ফেরাতে পারেনি পরি প্রকৃতি। যেখানে সম্ভব-বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে ছোট করে হলেও পুজোর আয়োজন হচ্ছে ঘাটাল জুড়ে। তেমন কিছু মণ্ডপে নৌকাতে করেই শিলাবতী নদী পথে প্রতিমা চলল মণ্ডপের লক্ষ্যে। অন্যদিকে, পুজোর আনন্দ তো অনেক দূরে! বহু শত মানুষ আজও প্রশাসনের ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছেন বিভিন্ন স্থানে।
ঘাটাল মহকুমা জুড়ে বন্যার জল নেমে গেলেও ড্রোনের নজরদারিতে প্রশাসন দেখতে পেয়েছে পুরো ঘাটাল
এখন কঙ্কালময় পরিস্থিতি। চাষবাস থেকে শুরু করে বসতবাড়ি বহু নষ্ট হয়েছে। রাস্তা নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন রকমের কয়েকশো কিলোমিটার। এই পরিস্থিতির মাঝেই শুরু হয়ে গেল পুজোর সময়। বন্যার আগে বিভিন্ন জায়গাতেই পুজোর মন্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । পরে সেগুলি বন্যার জলে ডুবে যায়। বর্তমানে জল কমতে সেই নির্মীয়মান মণ্ডপগুলি পূজোর অনুপযুক্ত মনে হয় বিকল্প স্থান খুঁজতে হয়েছে প্রতিটি পূজোর আয়োজকদের। ঘাটাল পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পুজো কমিটির পক্ষ থেকে শুভাশিস মাইতি
বলেন-” এখনো এক কোমর জলে ডুবে রয়েছে পুজোর মন্ডপ। সেখানে আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি আর পূজো করা যাবে না।। তাই অন্য একটি শুকনো রাস্তার পাশে ছোট করে মন্ডপ তৈরি করে, প্রতিমাও ছোট করে নিয়ে আসা হচ্ছে। পুজোর আয়োজন একেবারে ছোট করে দিতে হয়েছে বন্যার কারণে।”
বেশ কিছু ছোট
পুজোর আয়োজন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর। ঘাটালের চাউলী এলাকার একটি পুজো কমিটির সহ-সম্পাদক সায়ন দ্বীপ জানা বলেন – “বন্যার কারণে তাদের নির্মীয়মান মণ্ডপ এখনো জলে ডুবে রয়েছে। এলাকার লোকজনের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাতে নতুন করে আর তৈরি সম্ভব নয়। তাই এবার পুজোর আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকাতে।” এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই বেশ কিছু এলাকাতে পূজোর আয়োজন হলেও প্রতিমা নিয়ে গিয়ে আয়োজন করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। কয়েকশো কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই অব্যবহারযোগ্য হয়ে গিয়েছে। ফলে শিলাবতী নদীর জলপথ বেয়ে প্রতিমা নিয়ে যেতে হচ্ছে বহু এলাকার বাসিন্দাদের।