Dengue : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত পাশাপাশি ৬ জন, ডেঙ্গির বাসা পুকুরকেই শুকিয়ে দিল পৌরসভা

মেদিনীপুর: ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা পাটনা বাজারের ভেতরে বহু পুরনো পরিতক্ত পুকুর রয়েছে। কালো পচা জল ও টোকা বানায় ভর্তি। ডেঙ্গুর একেবারে উত্তম আঁতুড় ঘর। বারবার বলার পরেও পুকুর মালিকের ভ্রুক্ষেপ ছিল না। সম্প্রতি পাশাপাশি ছ-জন একসঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। এরপরেই কড়া হাতে নামলো পৌরসভা। কর্মী নামিয়ে সেই পুকুরকে পরিষ্কার করে শুকনো শুরু করলো পৌর কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানালেন পৌরকর্তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাটনা বাজার এলাকাতে। স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব জানিয়েছেন-” এই এলাকার একটি পরিবারের বহু পুরনো পরিত্যক্ত পুকুর রয়েছে। যেখান থেকে কখনো জল বের হওয়া বা পরিবর্তনের কোন রাস্তা নেই। অব্যবহারিত ওই পুকুরটি টোকাপানা ও কালো পচা জলে ভর্তি। সেখান থেকে ডেঙ্গুর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে মনে করিয়ে পুকুরের মালিক কে বারবার বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোন ভ্রুক্ষেপ করেননি। চলতি সপ্তাহে একসঙ্গে ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এই পুকুরের পাশাপাশি বাসিন্দা। এরপরেই পৌরসভা তে জানিয়েছিলাম। পৌরসভা কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। আপাতত পুকুরটি শুকিয়ে একেবারে পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে।”
এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন পৌর প্রধান সৌমেন খান নিজেও। প্রায় ১০ জন পৌর কর্মী লাগিয়ে সেই পুকুরে ভর্তি থাকা টোকাপানা পরিষ্কার করতে দেখা যায়। একইসঙ্গে ডেঙ্গু অভিযানে থাকা পৌরসভার কর্মীদেরও ওই এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো ও অন্যান্য পদক্ষেপগুলি নিতে দেখা গিয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে মানুষের ক্ষোভ ওই পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে।
পৌর প্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন-“আমরা আগেই পুকুরের মালিক কে নিজের পুকুর পরিষ্কার করার বিষয়ে অবগত করেছিলাম। কিন্তু তাতে তারা কর্ণপাত করেনি। এলাকার মানুষ এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তাই আমরা নিজেরাই পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ কাজ করতে যে খরচ হবে সে সম্পূর্ণ ব্যয় করতে হবে পুকুরের মালিককে। এরকম আর কোথায় রয়েছে আমরা দেখে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে।”
আপাতত পাটনা বাজারের ওই এলাকাতে পাশাপাশি দুটি পুকুরে অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বনাথ মন্ডপ। সেই সাথে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যারা হয়েছেন তাদের বিষয়ে যথাযথ খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।