Mysterious tunnel :বাড়ি তৈরির ভিত খুঁড়তেই ১৫ ফুটের পুরনো সুড়ঙ্গ ! রহস্য পিংলাতে
পিংলা: মাটির বাড়ি থেকে পাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। প্রায় আট দিন ধরে ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল। তবে সম্প্রতি মাঝেমধ্যে পুরনো দিনের চ্যাপ্টা ইটের টুকরো বেরিয়ে আসছিল গর্ত থেকে। তবে মঙ্গলবার যা বের হলো তাতে সকলেই বিস্মিত। ভিতের একটি অংশ থেকে পুরনো দিনের পাকার গাঁথুনি দিয়ে তৈরি একটি সুড়ঙ্গ উদ্ধার হল। যা নিয়ে রহস্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে ছুটে এলেন বিডিও থেকে পুলিশ সকলেই। বন্ধ রাখা হলো খনন কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার অন্তর্গত রাজবল্লভ গ্রামে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মহিলা অনিমা ঘোষ, একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পরিবারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তাদের পুরনো মাটির বাড়ি ভেঙে সেখানে পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে। সেইমতো পুরনো বাড়ি থেকে সামনেই একটি ফাঁকা জায়গাতে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। গত আট দিন ধরে সেই কাজ চলছিল। এই খননের মাঝেমধ্যেই ভেতর থেকে পুরনো দিনের ইঁটের টুকরো বের হচ্ছিল। এতে তেমন কিছু মনে না হলেও মঙ্গলবার সকালে যা বের হলো তাতে সকলেই চমকে গেলেন।
প্রায় ৪ ফুট মত ভিত খোঁড়ার পর দেখা গেল সেখানে পুরনো দিনের ইটের গাঁথুনি দেওয়া দেওয়াল। তার পাশ দিয়েই আরেকটু খনন করতেই একটি পুরনো দিনের সুড়ঙ্গ বের হয়ে এলো। সেই সুড়ঙ্গ বরাবর আরো খনন করতেই দেখা গেল উল্টোদিকে একটি পাকার দেওয়াল। এই বিষয়ে উন্মোচন হতেই পাশাপাশি গ্রামের বহু মানুষ ভিড় করতে থাকেন ওই এলাকাতে। কৌতুহলী বাসিন্দাদের ধারণা হয় পুরনো দিনের হয়তো কোন কিছু মূল্যবান জিনিসও থাকতে পারে ভেতরে। আরো খনন করতে উদ্যোগী হন অনেকে। কিন্তু বাড়ির মালিক বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। তারপরে ছুটে আসে পুলিশ থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা।
সেখানে এসেছিলেন পিংলা ব্লকের বিডিও লেপচা ওয়াংচু শেরপা। পুরো বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে নিয়েছেন। সেখানে হাজির হয় পিংলা থানার পুলিশ। বিডিও পুরো বিষয়টি দেখে খনন কার্য বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ওই সুড়ঙ্গ সংলগ্ন এলাকাটিতে। এদিন বিডিও বলেন-” আমরা ওই বিষয়টি দেখে আপাতত সুড়ঙ্গ সংলগ্ন এলাকায় খনন করতে নিষেধ করেছি। ঊর্ধ্বতম আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি পাঠানো হয়েছে ছবি তুলে। প্রয়োজনে তারা এসে সরোজমিনে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পাশাপাশি এলাকায় খননকার্য বা যে নির্মাণ কাজের জন্য তারা এগোচ্ছিলেন তা বাড়ির লোকেরা করতে পারেন”

এদিন বাড়ির মালিক অনিমা ঘোষ বলেন-” খনন করার সময় পুরনো দিনের এই নির্মাণ সামনে আসতে আমরা চমকে গিয়েছি। আমরা সকলেই কৌতুহলী হয়েছিলাম। প্রশাসনের আধিকারিকরা আপাতত খনন ওই স্থানটিতে বন্ধ রাখতে বলেছেন। তবে যা দেখে মনে হল পুরনো দিনের মন্দির হতে পারে।”। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় একসময়ে জমিদারের বসবাস ছিল। জমিদারি আমলে বহু বড় বড় মন্দির ছিল। সেই মন্দিরেরই কোন অংশ হবে এটি। সেই সঙ্গে অনিমা দেবীও জানান-” আমার শাশুড়ির কাছে শুনেছিলাম আমাদের এই খননের জায়গাতে পুরনো দিনের একটি মন্দির ছিল। তবে আমরাও মনে করছি এটা কোন মন্দির হতে পারে। তবে আপাতত বন্ধ থাকছে সমস্ত কাজ।”