সমস্যা সমাধানে লোধা-শবর গ্রামে জেলা শাসক
আদিবাসী ও লোধা-শবরদের উন্নয়নে বিশেষ নজর প্রশাসনের। এবার সেই সমস্ত গ্রামে গিয়ে তাদের অসুবিধার কথা শুনলেন খোদ জেলা শাসক। খোলা আকাশের নিচে ত্রিপলে বসে গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা শোনার পাশাপাশি সমাধানের বার্তাও দিলেন। দুয়ারে সরকার শিবিরের পর জেলা জুড়ে চলছে “সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ”। প্রথম দিন সমাধানে বেরিয়েই নারায়ণগড়ের প্রত্যন্ত লোধা এলাকাতে গ্রামের মাঝে গাছ তলাতেই পাকার চাতালে বসে গ্রামবাসীদের সমস্যা শুনে সমাধান করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক খুরশীদ আলী কাদরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। বুধবার শালবনীর বুড়িশোলে লোধা-শবর এলাকায় যান জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন সৌরভ মহান্তি, শালবনীর বিডিও রোমান মণ্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, শালবনীর এই লোধা-শবর অধ্যুষিত গ্রাম বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে ছিল। এবার সেই গ্রামে গিয়ে স্থানীয় লোকজন কি কি সুবিধা পাচ্ছেন, এলাকায় কি কি সমস্যা রয়ে গিয়েছে তা শোনার জন্য হাজির হয়েছিলেন আধিকারিকরা। এদিন মূলত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, রেশন না পাওয়া, সরকারি বাড়ি না পাওয়া বিষয়গুলি উঠে আসে। পাশাপাশি আর্থিক ও সামাজিকভাবেও তারা পিছিয়ে। শিশুরাও অপুষ্টিতে ভুগছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, রেশন কার্ড না থাকলেও খাদ্য যাতে ওরা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে এবং সাত দিনের মধ্যে একটি ক্যাম্প করে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড সমস্যার সমাধান করা হবে। পানীয় জলের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বিডিওকে। এদিন ওই গ্রামের বেশ কিছু মানুষজনের হাতে জাতিগত শংসাপত্র, ভোটার কার্ড তুলে দেন জেলাশাসক।