শাল গাছের বাগান তৈরি করে সেরা মেদিনীপুর, বিলি হল পাট্টা
১০ হেক্টর জমিতে শাল গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। যত্ন নিয়ে সেই চারা এখন বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যার ফলস্বরূপ জেলার শিরোপা পেল মেদিনীপুর রেঞ্জের বাঘাশোল বিটের খাসজঙ্গল যৌথ বন পরিচালন কমিটি। দ্বিতীয় হয়েছে আমলাগোড়া রেঞ্জের তিলারা যাদবনগর যৌথ বন পরিচালন কমিটি। যে সমস্ত যৌথ বন পরিচালন কমিটি জঙ্গল রক্ষায় ভালো ভূমিকা দেখিয়েছে তাদেরও পুরস্কৃত করা হয়। তাতে প্রথম হয়েছে নয়াবসত রেঞ্জের বাঘাখুলিয়া যৌথ বন পরিচালন কমিটি, দ্বিতীয় হিজলি রেঞ্জের বৃখভাওপুর, তৃতীয় গড়বেতা রেঞ্জের বেনাচাপড়া। পাশাপাশি জঙ্গলের জায়গায় বসবাসকারী এমন কয়েকজনের হাতে পাট্টার কাগজও তুলে দেয়। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর মৌপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বনমহোৎসবে ওই কমিটিগুলির হাতে পুরস্কার তুলে দিল বনদপ্তর। এদিন গাছ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের হয় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। সেই শোভাযাত্রার ট্যাবলোর সূচনা করেন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানি মাইতি, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ, মুখ্য বনপাল (পশ্চিম) অশোক প্রতাপ সিং, মেদিনীপুর, খড়্গপুর বন বিভাগের ডিএফও, মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বিদ্যালয় চত্ত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে অংশ নেন মন্ত্রী ও বনাধিকারিকরা। বিরবাহা হাঁসদা বলেন, “যারা ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তাদের মধ্যে গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সজাগ করে তুলতে হবে। এলাকায় গাছ লাগানো এবং তাকে রক্ষার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে সকলকে। আমরা লক্ষ্য করেছি রাজস্থানের থেকে আমাদের জঙ্গলমহলে গরম বেশি ছিল। তার কারণ আমরা নিজেরা স্বার্থপর হয়ে উঠেছি। গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছি। আমরা বুঝছি না গাছের গুরুত্ব।” এদিন শালবনীর জাড়া এলাকায় বনদপ্তরের জায়গায় বসবাসকারী চার পরিবারের হাতে জায়গার পাট্টা তুলে দেয়। সবুজশ্রী প্রকল্পে চারা গাছ এবং সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয়।