সচেতনতার প্রচার যাই থাকুক, গাছের শুকনো ঝরা পাতায় আগুন লাগার ছবি স্পষ্ট। সচেতনতা কবে ফিরবে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেও অনেক সময় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। বন দফতর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সচেতনতার প্রচার চালালেও বদলায়নি চিত্র। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী নিয়ে বিশাল জঙ্গলে নজরদারি চালানোও সম্ভব নয় বন দফতরের। তবে ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। ঝরা পাতার মরশুমে দিনরাত আগুন নেভাতে হিমশিম বন দফতর। মঙ্গলবার দুপুরে পিড়াকাটার ভীমশোলের জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন কর্মীরা গিয়ে তা নিভিয়ে দেন। রাত্রি আটটা নাগাদ শালবনীর বাগমারীর জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন লাগে। এর আগে পুড়ে গিয়েছে বুড়িশোলের জঙ্গল। এদিন রাতেই বনকর্মীরা সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বনকর্মীদের সঙ্গ দিয়েছে বৃষ্টি। দুটি জঙ্গলেই কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। জেলায় ইতিমধ্যে পুড়ে গিয়েছে কয়েক একর জঙ্গল। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে উদ্বিগ্ন মানুষজন। বন্য পশু পাখিও ধ্বংসের মুখে। অনেকে বলেন, জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ ও পশু শিকারের সুবিধার্থে একদল অসাধু মানুষ আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বনকর্মীরা নিভিয়ে ফেলেছে। সচেতনতার প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে। ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।