মেদিনীপুর শহরে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে ময়দানে মহকুমা শাসক

ফুটপাত ও সরকারি জায়গা দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক নির্দেশের পরেই মেদিনীপুর শহরেও পাল্টে গেল পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার শহরের কলেজ স্কোয়ার এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা ফুটপাতের দোকানগুলির হিসেব শুরু করেছিলেন মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী। শুক্রবার শহরের আরেকটি সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করার অভিযান চালানো হলো। যা ঘিরে অনেকটাই ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা সরকারি জায়গায় ছাউনি করে বসবাস শুরু করা মানুষজনদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা সংলগ্ন মল্লিক পুকুর পাড়ে অবৈধভাবে তৈরি হওয়া নির্মাণ উচ্ছেদ শুরু করেন আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন, মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী, পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন বেশ কিছু বাড়ির কাঠামো পুকুরপাড় থেকে সরানো হয়। বেশ কিছু নামিদামি হোটেলও তাদের আয়তন বৃদ্ধি করেছিল পুকুর পাড়ে। সেগুলিও ভাঙার কাজ শুরু করে আধিকারিকরা। মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী বলেন, মল্লিক পুকুর পাড়ে বেশ কিছু নতুন নির্মাণ হয়েছে। কয়েকটি দোকান বাড়িয়ে ফেলেছে পুকুর পাড়ের দিকে তাদের কাঠামো। তাদেরকেও আজকে নোটিশ করা হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে তাদের জায়গার দলিল দেখাবে। তারপরেও যদি অতিরিক্ত জায়গা দখল করে থাকে তা নিজেদেরকে সরিয়ে নিতে হবে। না হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আজকে বেশ কিছু অস্থায়ী কাঠামো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেগুলো স্থায়ীভাবে শক্ত কাঠামো রয়েছে, সেগুলোও সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে একদম গরিব পরিবার যারা বসবাস করছে‌, তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও দেখা হবে।” মেদিনীপুর শহর জুড়ে এই অভিযান আপাতত চলবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “শাসক দলের মদতেই এই সমস্ত অবৈধ দখল হয়েছে। তারাই তোলার জন্য যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা একটা নাটক। দুদিন পরে এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে। যে যেখানে বসে ছিল সেখানেই বসে যাবে পুনরায়। এগুলো আইওয়াস ছাড়া কিছু নয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page