মেদিনীপুর শহরে মুখ্যমন্ত্রী, দলীয় নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক

রাত পোহালেই মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা। তার আগেই সোমবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের বিধাননগরে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে সার্কিট হাউসে পায়ে হেঁটে তিনি পৌঁছান। রাস্তার দু’পাশে কর্মী সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মহিলাদেরও ভিড় ছিল। অনেকে শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পাশে থাকা এক শিশুকে কোলে তুলে আদর করতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক জনসভা থেকে কয়েকশো প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। তার আগে সোমবার সার্কিট হাউসে দলের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে ৪৫ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, বিধাননগর মাঠে নেমে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পান শহরে অনেক উঁচু উঁচু বাড়ি। যা নিয়ে বৈঠকে পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খানকে বলেন, এত উঁচু উঁচু বাড়ি কেন? সৌমেন খান জানিয়েছেন, তিনি পৌরপ্রধান হওয়ার আগে থেকেই এইসব বাড়িগুলি নির্মাণ হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মেদিনীপুর হাসপাতালে ক্যাথল্যাব চালু হলেও কর্মীর অভাব রয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকরা বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে থাকেন না। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরাকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন জুন মালিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের আরও মজবুত করতে। অন্যদিকে, কেশপুরে মন্ত্রী শিউলি সাহার সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে ব্লক সভাপতির। জানা গিয়েছে, কেশপুরে কেউ কারও কথা শুনছেনা। এমনই অভিযোগ করেন শিউলি সাহা। সেই বিষয়টিও মানস রঞ্জন ভূঁইয়াকে দেখার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন, ব্লক সভাপতি তার সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছে। সূত্রের খবর, বিক্রম প্রধানের নির্দেশ মতো নতুন ব্লক সভাপতি করার জন্য সুজয় হাজরাকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে দলের অন্দরে যাতে কোন দ্বন্দ্ব না থাকে তার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page