মেদিনীপুরে উরুষ উৎসবে দুই বাংলা

মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদে উরুষ উৎসবে মাতল দুই বাংলা। শুক্রবার ভোরে মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছালো বাংলাদেশের ট্রেন। তাতে ২২৫৬ জন রয়েছেন পুণার্থী। স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ অন্যান্যরা। এই উৎসব সম্প্রীতির উৎসব। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক মানুষ আসেন। তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য সতর্ক প্রশাসন।
ইসলামের যে ধারাটি শান্তি-সম্প্রীতি ও মানব-কল্যাণের আদর্শকে প্রকৃতভাবে তুলে ধরে সেটি হল সুফি ঘরানা। শ্রেষ্ঠ সুফি তরিকা কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা  -গওসুল আযম আব্দুল কাদের জিলানী আল বাগদাদী পাক যিনি ‘বড় পীর সাহেব’ নামে পরিচিত। তাঁরই ১৯ তম বংশধর তথা উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুফি সাধক হযরত সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের ১২৩ তম বার্ষিক উরুষ উৎসব পালিত হচ্ছে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ, তৎ-সংলগ্ন মাজার পাক, দায়রাপাক ও ইস্ত্রীগঞ্জ পাকে। জানা গিয়েছে, ১৮৫২ সালের ১৬ ই জুলাই  ‘মওলা পাক’ জন্মগ্রহণ করেন। ‘মওলা পাকের’ ভক্ত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন। পূর্ববঙ্গে অসংখ্য ভক্ত থাকার কারণে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের রাজবাড়ী জেলা থেকে একটি রিজার্ভ ট্রেন প্রতি বছর উরস উৎসবে মেদিনীপুর আসতে শুরু করে ১৯০২ সাল থেকে। পরবর্তীতে কয়েকটি রিজার্ভ বাসযোগেও পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেন। 
বাংলাদেশের আঞ্জুমান ই কাদেরিয়ার সভাপতি মাহাবুল আলম জানান, “১৯০২ সাল থেকে এই মৈত্রীর সম্পর্ক আজও অটুট রয়েছে দুই দেশের। তিন দিনের এই সফর সেরে ১৮ তারিখ রাত দশটা নাগাদ একই ট্রেনে ফিরে যাবেন পুণ্যার্থীরা। তবে ট্রেন ছাড়াও বাস ও আকাশপথে আরও অনেক বাংলাদেশের পূণ্যার্থীরা এখানে হাজির হয়েছেন।” অভ্যর্থনা জানানোর পর মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিবারই বাংলাদেশ থেকে আসা এই সমস্ত পুণ্যার্থীদের জন্য অভ্যর্থনা জানানোর ব্যবস্থা থাকে। উৎসবে সামিল হওয়ার পুরো সময়টা তাদের দেখভালের ব্যবস্থাও করে থাকে মেদিনীপুর পৌরসভা। নিরাপত্তার আয়োজন সহ সমস্তটাই তৈরি করা রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page