মহিলা ফুটবলে মায়ানমারের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে খেলবেন শালবনীর মৌসুমী
একদিকে যখন প্যারিসে অলিম্পিক্সে অংশ নিচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের খুড়শি এলাকার আভা খাটুয়া। ঠিক তখনই জেলার অন্য প্রান্ত জঙ্গলমহলের শালবনী এলাকার আরেক তরুণী দেশের হয়ে ফুটবল খেলবেন মায়ানমারের বিরুদ্ধে। এই দুই খুশির খবরে জেলার ক্রীড়ামহলে আনন্দের জোয়ার। আগামী ৯ এবং ১২ জুলাই মায়ানমারে বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে। সেই দলে মিডফিল্ডার হিসেবে মৌসুমী মুর্মুর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই খবর জেলায় পৌঁছাতেই সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান। জেলার ফুটবলে ২০১৬ সাল থেকেই আশার আলো দেখিয়েছিল শালবনী। সেই আলো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ল মৌসুমীর হাত ধরে। ২০১৭ সালে সুদূর জঙ্গলমহল থেকে কলকাতার নামী ক্লাব, দাদা সুব্রত ও বোন মৌসুমীর জন্য লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না। শালবনীতে নারায়ণ সিংয়ের হাত ধরেই তাদের ফুটবলে হাতেখড়ি। নারায়ণ বাবু মৌসুমীকে প্রথম কলকাতায় নিয়ে যান। তারপর ইস্টবেঙ্গল মহিলা দলে যোগ দেন মৌসুমী। পরে শ্রীভূমি এফসিতে। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা মৌসুমী বলেছিলেন, “আরও বড় হতে চাই। ভাল ফুটবল খেলতে চাই। প্রশিক্ষকেরা নানা ভাবে সাহায্য করেন। না হলে হয়তো মাঠেই নামতে পারতাম না।” সেই মৌসুমী এবার দেশের হয়ে ফুটবল খেলবেন। তার দাদা সুব্রত ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কলকাতা লিগে সম্প্রতি একটি গোল করেছেন। দাদা ও বোনের ফুটবল খেলা সাড়া ফেলে দিয়েছে জেলায়। মৌসুমীর এই সাফল্যকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শালবনীর ক্রীড়া সংগঠক সন্দীপ সিংহ।