রেসিডেন্সিয়াল হাতি নিয়ে চিন্তায় বনদপ্তর। চলতি মাসেই দুজনের মৃত্যু হল হাতির হানায়। বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে মেদিনীপুর বন বিভাগের বিভিন্ন জঙ্গলে ৬টি রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। সেই হাতির হানায় মৃত্যু হল শালবনি ব্লকের এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম শংকর মাহাত (৫৫)। বাড়ি শালবনির দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গাড়রা এলাকায়। বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের পাশেই মনসা পুজো হচ্ছিল। সোমবার রাত্রি ১১ টা নাগাদ পুজো থেকে শংকর ও তার প্রতিবেশী একজন বাড়ি ফিরছিলেন কৃষি জমির মাঝে থাকা পথ দিয়ে। সেই সময় দুটি হাতি আক্রমণ করে। অপরজন পালাতে সক্ষম হলেও শংকরকে হাতি শুঁড়ে ধরে আছাড় মারে। টেনে হিঁচড়ে শরীর থেকে একটি হাত আলাদা করে দূরে ছুড়ে দেয়। তৎক্ষণাৎ খবর যায় গ্রামে। গ্রামের লোকজন এসে হাতি দুটিকে তাড়িয়ে তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে শংকরের দেহে প্রাণ নেই বলেই অনুমান করেন স্থানীয়রা। খবর যায় লালগড় রেঞ্জে। বনদপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৫ তারিখে শালবনির মেটাল এলাকায় এক মহিলার মৃত্যু হয় হাতির হানায়। তার রেস কাটতে না কাটতে পুনরায় হাতির হানায় মৃত্যু সেই শালবনিতে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করে সতর্কবার্তা দিল বনদপ্তর। তবে বনদপ্তরের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে রেসিডেন্সিয়াল হাতি। জমিতে এখন খাবার নেই। তাই লোকালয়ের বাড়িগুলিতে হানা দিচ্ছে খাবারের খোঁজে। তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকছে। হাতিগুলিকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বনদপ্তর।