খড়্গপুর আইআইটি-তে একের পর এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা। গত সোমবার এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে খড়্গপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার আইআইটির প্রবেশপথে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। রাজ্যের মধ্যে এমনই নামকরা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক পড়ুয়ার মৃত্যু ভালো বার্তা যাচ্ছে না বলে দাবি তাদের। এর আগে ফাইজান আহমেদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, তাকে খুন করা হয়েছে। ফলে এই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই। আইআইটি-তে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে একের পর এক মৃত্যু। ডিরেক্টরের গ্রেপ্তারেরও দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, গত সোমবার খড়্গপুর আইআইটি-র চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী দেবিকা পিল্লাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। দেবিকা কেরলের বাসিন্দা। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে অসমের বাসিন্দা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ফাইজান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পরপর পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আইআইটি-র প্রবেশ পথে বিক্ষোভ দেখালেন জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। মঞ্চের পক্ষে আইয়ুব আলী বলেন, “আইআইটি-তে নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থায় নেই। অথচ বাইরে থেকে সাধারণ মানুষ কোনো কাজে প্রবেশ করলে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ভেতরে অগোছালো ব্যবস্থার কারণে একের পর এক পড়ুয়া অস্বাভাবিক ভাবে মারা যাচ্ছে। আমরা তো মনে করছি এগুলো খুন করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ডিরেক্টরের গ্রেফতারের দাবি করছি। ব্যবস্থা নিতে হবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের বিরুদ্ধেও। তা না হলে আমরা লাগাতার ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি নেব।”