দলছুট হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল বনদপ্তর
পাল হাতিকে ‘শান্তিপূর্ণ’ ভাবে সরাতে সক্ষম হলেও, দলছুট হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল অবস্থা বনদপ্তরের। দিনভর ঘুম ছুটলো বনকর্মীদের। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে দুর্ঘটনার আশংকা। শনিবার সকালে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার কংসাবতী নদী সংলগ্ন কুন্ডলবনী এলাকায় ঢুকে পড়ে একটি দলছুট হাতি। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মৃত্যু হয়েছে গবাদি পশুর। দুটি মোটর বাইক ও একটি সাইকেল ভেঙে ফেলে। জঙ্গলে ফিরে না গিয়ে হাতিটি গ্রামের মধ্যে থাকা বাঁশ গাছের ঝোপের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সারাদিন সেখান থেকে জঙ্গলপথে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই দেখা যায়নি। খবর চাউর হতেই হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় জমান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। বনকর্মীরা পৌঁছে হাতিটিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ঝুঁকি নিতে চাননি তারা। উল্লেখ্য, ওই হাতিটি শুক্রবার ভোরে পনেরোটি বাড়ি ভেঙে ফেলে। পরে সন্ধ্যাবেলায় চাঁদড়া রেঞ্জ অফিসের পাশে চলে আসায় দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। সেই সময় হাতি তাড়া করলে কাঁটা তারে পড়ে গিয়ে জখম হন মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ দে এর ছেলে দেবরাজ দে। তাঁর বাড়ি চাঁদড়াতে। তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাতিটিকেও বনকর্মীরা কংসাবতী নদী পার করে মানিকপাড়ার দিকে পাঠাতে সক্ষম হয়। কিন্তু ভোর হতেই ফের চাঁদড়ার দিকে ফিরে আসে। সেই সময় কুন্ডলবনী এলাকায় তাণ্ডব চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের আধিকারিকরাও। চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সুজিত পন্ডা জানিয়েছেন, “মানুষের ভিড়ের জন্য হাতিটিকে ওখান থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। হাতিটির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”