টানা অতিবর্ষণে বাড়ি ভেঙে দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত দুই, মেদিনীপুর সদরে পথ অবরোধ
মেদিনীপুর : টানা অতিবর্ষণের কারণে দুর্ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। পুরোনো পরিত্যক্ত একটি মাটির বাড়ি রাতের বেলা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো পাশে পাকা বাড়ির উপর। পাকা বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত এক নাবালক সহ দুজন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড সতীবাজার এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত্রি প্রায় দশটা নাগাদ সতীবাজার এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব বায়েনের পাকার বাড়ির ওপরে ধসে পড়ে পাশের একটি পুরনো পরিত্যক্ত মাটির বাড়ি। বিশাল মাটির বাড়ির চাপে সেই পাকা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ভিতরে চাপা পড়েন বাড়ির দুজন সদস্য। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক এক নাবালক। বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ওই ভাঙা দেওয়াল সরিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই নাবালকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহত হয়েছেন ভারতী বায়েন নামে অপর এক বৃদ্ধা। আহতদের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, “বারবার কাউন্সিলরকে পুরোনো বাড়িটির বিষয়ে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।” এমন ঘটনা ঘটার পরেই রাতেই পরিবারের সদস্যরা কাউন্সিলরকে ফোন করে ঘটনার বিবরণ জানান। রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর উপস্থিত হলে কাউন্সিলরকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন। ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এলাকার মানুষদের মধ্যে।
অন্যদিকে শনিবার থেকে টানা বর্ষণের কথা মাথায় রেখে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হয়েছিল মেদিনীপুরেও। মহকুমা শাসকের নির্দেশে রাতেই মেদিনীপুর পৌরসভাতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। পাশাপাশি জল নিকাশী ব্যবস্থা না করায় বাড়িতে ঢুকে পড়ে জল। রাতভর দুর্ভোগে সকালে পথ অবরোধ করেন এলাকার মানুষজন। রবিবার সকালে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম সড়কের ধেড়ুয়াতে প্রায় আধ ঘন্টা অবরোধের জেরে আটকে পড়ে যানবাহন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর বৃষ্টির জল বাড়িতে ঢুকে যায়। পঞ্চায়েতে জানানো হলেও পাকাপোক্ত কোনো নালার ব্যবস্থা করেনি। প্রতিবারই শুধু আশ্বাস মেলে। পরে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাজল সিংহ গিয়ে আলোচনা করে অবরোধ তোলাতে সক্ষম হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধান-উপপ্রধানকে জানানো হলেও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৌশিক মাহাত বলেন, “পুজোর পরই পাকাপোক্ত নালা তৈরি করে জলনিকাশীর ব্যবস্থা করা হবে।”