“গরুর দুধে সোনা নাকি শিক্ষিত মানুষ চান?” লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগে ভাববেন
খড়্গপুর : লোকসভা নির্বাচনের আগে যুব তৃণমূলের প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ খড়গপুর শহরে। গত ৫ বছরে যা দেখা যায়নি। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন বঞ্চনা ইস্যুতে মহামিছিল ও সভার আয়োজন হলো যুব তৃণমূলের ব্যানারে। যেখানে খড়্গপুরে ক্ষমতাসীন বিজেপি বিধায়ক হিরণ ও সাংসদ দিলীপ ঘোষকে বিভিন্নভাবে তুলোধোনা করলেন সায়নী ঘোষ থেকে মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। খড়্গপুর শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে গোলবাজার পর্যন্ত মিছিলে পা মিলিয়েছেন সায়নী ঘোষ থেকে বিভিন্ন বিধায়ক ও মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। গোলবাজার এলাকায় একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল মিছিল শেষে। মঞ্চে মানস ভূঁইয়া বলেন, “একটা আবহাওয়া তৈরি করা হচ্ছে। তিন রাজ্যে জয়লাভ করার পর নাকি সবটাই দখল করে নিতে চলেছে বিজেপি। আমি দীর্ঘ পুরনো অভিজ্ঞতা নিয়ে বলছি আমাদের নেত্রী যেটা ৫ মিনিটে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটাই সত্য। ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে কংগ্রেসের যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা একটু নমনীয় হলে বিজেপি কখনোই এত ব্যবধানে জিততে পারত না। এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা। জনগণের ব্যর্থতা নয়। তাই ইন্ডিয়া জোট পুনরায় দিল্লিতে আলোচনায় বসছে। যেখানে প্রধান মুখ হবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে যেখানে ক্ষমতায় আছে তাকে লড়তে দিন সেখানে। তাহলেই বিজেপি ঝড়ের মতো উড়ে যাবে।”
এদিন সায়নী ঘোষ বলেন, “বিজেপি একটা নারী বিদ্বেষী দল। মহিলা দ্বারা পরিচালিত হবে এটা তারা কখনোই মেনে নেবে না। ওরা মেয়েদের সম্মান করে না। বিজেপি ঈশ্বরের কে? আপনি কোন ধর্মের ঠিকাদার? লোকসভা নির্বাচনটা আসতে দিন! তখনই হিসেব বুঝে যাবেন। বাংলায় প্রকল্প হলে মোদির ছবি লাগাতে কেন হবে? প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন, নির্বাচন এলে ২০০ টাকা কমিয়ে দিচ্ছেন। তার পুরো পোশাক খুলে শেষে একটা গামছা পরিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে গিরিরাজ যেভাবে কটাক্ষ করছেন তাকে বলব আপনি নিজের বয়সের সম্মান করুন। আপনার দলের বিজেপি সাংসদ কি করেছে এলাকায়? সাংসদ দিলীপ ঘোষ সকাল হলেই ইকোপার্কে ঘুরতে চলে যান। খড়্গপুরের জন্য কি করেছে? আপনারা এমন নেতাকে বাঁছুন যে গরুর দুধ থেকে সোনা বের করবে না, শিক্ষিত হবে সামলে রাখবে আপনাদের। সামনেই লোকসভা, তাই খড়্গপুরের মানুষকে বলব আপনার বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক কি করেছে হিসেব করবেন, তারপর ভোট দিতে যাবেন। দয়া করে যারা প্লেনে করে আসে ভোট নিতে তাদের ভোট দেবেন না। ওরা বলে, মমতা পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা করে বেকার দেয়। ওই মাথামোটারা জানেনা মমতা সত্তর হাজার টাকা দেয় বলেই ইউনেস্কোতে সেই বিষয়টা প্রচার হয়, পরে সত্তর হাজার কোটির ব্যবসা আসে দেশে।” বৃহস্পতিবার চন্দ্রকোণায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “টাকা তৃণমূল যেখানে লুকিয়ে রাখুক মাটি খুঁড়ে হলেও বার করব।” তার জবাবে এদিন সায়নী ঘোষ বলেন, “শুভেন্দুর নিজের টাকা রয়েছে সেটা আগে বার করুক। তবে এখানকার হিরণকে নিয়ে বলার মত কিছু নেই একেবারে আলোচনার বাইরে থাকা বিষয় সে। তাকে নিয়ে যত বেশি বলব তত বেশি গুরুত্ব পাবে সে। আর গত পাঁচ বছর ধরে দিলীপ ঘোষকে শুধু ইকো পার্কে মর্নিং ওয়ার্ক করতে দেখা গেছে। খড়্গপুরের লোকজন পাঁচ বছরে কি পেয়েছে না পেয়েছে সেটা হিসাব করবেন। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কি পেয়েছেন সেটাও হিসেব করে নেবেন। তবে হিরণকে বলবো ঠান্ডা ঘরে থেকে অন্য মানুষকে ছোট করে রাজনীতি করে বড় হওয়া যায় না। মানুষের চাহিদা এত বেশি কিছু নয় তার পাশে থাকার চেষ্টা করুন অন্তত।”