খোদ পৌরপ্রধানের ওয়ার্ডেই জল দুর্ভোগ, সমাধান না হওয়ায় মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ বাসিন্দারা

সামান্য বৃষ্টিতেই নর্দমার জল ছুটছে রাস্তার উপর দিয়ে। মেদিনীপুর শহরের এই চিত্র প্রায় দেখা যায়। কিন্তু খোদ পৌর প্রধানের ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় নর্দমার জল দুর্ভোগে বাসিন্দারা। পৌর প্রধানকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। এমনই অভিযোগে এবার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন বাসিন্দারা। দ্রুত সমাধানের দাবিও জানালেন। মেদিনীপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাষিপাড়ার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে শুক্রবার মহকুমা শাসকের নিকট জল নিকাশি সমস্যার সমাধানের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন উত্তম প্রধান, দেবব্রত দত্ত, কৌশিক জানা, গৌরীশংকর সাহু। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় একটি ড্রেন থেকে আসা সমস্ত নোংরা জল রাস্তার উপর জমা হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশকে দূষিত করছে। ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত রয়েছে। সেই সঙ্গে দেড় শতাধিক পরিবারের মানুষের নিত্যদিনের যাতায়াত। ভারী বর্ষার আগেই সামান্য বৃষ্টিতেই জল দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকার একাধিক জলা জায়গা ভরাট করে প্রোমোটারকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এখন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বর্ষা নামলে শুধু রাস্তা নয়, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। গত দু’বছর আগেও বর্ষার জলে প্লাবিত হয়ে প্রায় দু’মাসের কাছাকাছি সময় জল ছিল। পাম্প দিয়ে জল নিকাশি করতে হয়েছিল। তারপরও সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হয় নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম প্রধান বলেন, “আগেও পৌর প্রধানের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনো সুরাহা হয়নি। তাই এলাকার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন দিয়েছি। উনি বিষয়টি  তৎপরতার সঙ্গে দেখবেন বলেছেন। আপাতভাবে যে জলটি জমা হচ্ছে কিভাবে তা দূরীকরণ করা যায় এবং সেই সঙ্গে স্থায়ী সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।” তবে সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা। পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “ওই এলাকাটি অনেকটা নিচু। আগে জল বেরোনোর জায়গা ছিল। বর্তমানে অপরিকল্পিতভাবে একাধিক বাড়ি নির্মাণের জন্য জল বেরোনোর জায়গা নেই। পাকাপোক্তভাবে স্থায়ী সমাধান করতে গেলে আনুমানিক ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। ওই কাজের জন্য এস্টিমেট রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। টাকা এলেই স্থায়ীভাবে কাজ শুরু হবে। এখন আপাতত রাস্তার জলটিকে সরানোর কাজ চলছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page