কেন্দ্রের ‘হিট এন্ড রান’ নতুন আইনে স্তব্ধ পরিবহন, ভোগান্তি জেলা জুড়ে

সারা রাজ্যের পাশাপাশি প্রতিবাদে শামিল জেলার গাড়ি চালকরা। বেসরকারি বাস ও ট্রাক সংগঠনগুলি হরতাল শুরু করেছে। বাস, ট্রাক না চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চালকরা। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। যার ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষজন। বুধবার সকাল থেকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হলো না কোন বেসরকারি বাস। রাস্তায় চলল না কোন পণ্যবাহী ট্রাক। গাড়ি থামিয়ে তারা জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভে শামিল হলেন। বাস না চলায় বেশি ভাড়া দিয়ে অটোতে বা প্রাইভেট কার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। এরকম চলতে থাকলে আগামীদিনে জ্বালানির ব্যাপক সংকট দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যে কারণেই এদিন পেট্রোল পাম্পগুলিতে ব্যাপক ভিড়। গাড়ির চালকদের দাবি, কেন্দ্র সরকারের নতুন ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইন বাতিল করতে হবে। সেই আইন বাতিল না হলে তারা কোনভাবে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামবেন না। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বাতিল করে এবার কার্যকর হবে দণ্ড সংহিতা। পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। বলা হয়েছে, হিট এন্ড রানের (Hit & Run) ক্ষেত্রে কারও মৃত্যুর পর যদি গাড়ির চালক পুলিশ বা প্রশাসনের কোনও আধিকারিককে না জানিয়ে পালিয়ে গেলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। চালকদের দাবি, তাঁদের উপর অন্যায় ভাবে শাস্তির কোপ পড়তে পারে। তাঁদের আরও যুক্তি, দুর্ঘটনার পর কোনও গাড়িচালক আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হতে পারেন। কোন চালকের যদি ১০ বছর জেল হয় তাহলে তার পরিবারের কি হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page