এবার ঝাড়গ্রামের ইউটিউবারদের দিকে নজর বনদপ্তরের, হতে পারে গ্রেফতার

জঙ্গলমহল জুড়ে হাতির হানা অব্যাহত। লাগাতার ঘটে চলেছে মৃত্যুর ঘটনা। সম্প্রতি এক ঘটনায় টনক নড়েছে বনদপ্তরের। ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির লবকুশ এলাকায় এক যুবক আহত হন হাতি হানায়। তবে কোনোরকমে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। তার তদন্তে নেমে বনদপ্তর জানতে পারে হাতিকে উত্যক্ত করা হয়েছিল ওই এলাকায়। যার ফলে এক যুবক আহত হয়েছিলেন। কারা করছে এই উত্যক্ত? সেই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে উঠে আসে ইউটিউবারদের নাম। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া এলাকায় বেশ কিছু যুবক রয়েছে, যারা কখনো লাঠি নিয়ে হাতির দিকে তেড়ে যায়, কখনো আবার কাছে গিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে হাতিকে উত্যক্ত করে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ওই যুবকদের কাজই হচ্ছে হাতিকে উত্যক্ত করে তার ভিডিও আপলোড করা ইউটিউবে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুকুরিয়া এলিফ্যান্ট গ্যাং এবং জঙ্গল মহল এলিফেন্ট গ্যাং এই দুটি ইউটিউব নজর এসেছে বনদপ্তরের। কারা চালাচ্ছে এই ইউটিউব তাদের খোঁজও শুরু করে দিয়েছেন বনকর্তারা। তবে এর মধ্যে সন্টু মাহাত এবং রাহুল মাহাত নামে দুই যুবকের খোঁজ পেয়েছে বনদপ্তর।  ঝাড়গ্রাম, মানিকপাড়া, লোধাশুলি নয় এই ইউটিউবাররা মেদিনীপুর বন বিভাগের চাঁদড়াতেও চলে যায় হাতিকে উত্যক্ত করে ভিডিও তোলার জন্য। সেই ভিডিও পৌঁছে গিয়েছে মেদিনীপুর বনবিভাগের আধিকারিকদের হাতে। তাতে দেখা গিয়েছে ওই যুবকরা চাঁদড়ার শিরশির জঙ্গলে হাতিকে উত্যক্ত করছে। হাতিও বিরক্ত হয়ে তাদের দিকে তাড়া করে নিয়ে আসছে। সেই মুহূর্তের ভিডিও মোবাইলে বন্দি করছে তারা। পরে আপলোড করছে ইউটিউবে।

 ওই যুবকদের বাড়ি ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়াতে বলে বনদপ্তর জানতে পেরেছে। ওই ভিডিও দেখে অনেকেই ওই যুবকদেরকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “দুটি ইউটিউব চ্যানেলের খোঁজ মিলেছে, যারা হাতিকে উত্যক্ত করে ভিডিও আপলোড করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ করা যায়, এই যুবকদের কারসাজি দেখে নতুনরা অতিউৎসাহিত হয়ে হাতির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর যার ফল মারাত্মক হয়ে উঠছে। তবে আটকানো না গেলে পরবর্তীতে আরো ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে বলেও আশঙ্কা করছেন বনকর্তারা। ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম থেকে ৫০ টি হাতির একটি পাল ডেরা বেঁধেছে চাঁদড়ার গাররার জঙ্গলে। ফলে সেখানেও ওই ইউটিউবাররা আসার পরিকল্পনা থাকতে পারে জেনে আগে থেকে সতর্ক বনদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page