পশ্চিম মেদিনীপুরে জঙ্গলমহলে শুরু হয়ে গিয়েছে শিকার উৎসব। এই উৎসবের নামে একদল মানুষের অসচেতনতায় চলে বন্যপ্রাণ হত্যা। তা আটকাতে এক দিকে সচেতনতার প্রচার অন্যদিকে শিকারিদের আটকাতে দিনভর টহল চলল বনকর্মীদের। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া রেঞ্জের ডালকাটির জঙ্গলে ছিল শিকার উৎসব। জঙ্গলে শিকারিদের প্রবেশ আটকাতে ভোরবেলা থেকে বিভিন্ন রাস্তায় নাকা পয়েন্ট করে বনদপ্তর ও গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। রাস্তায় আসা বহু শিকারিকেই ফিরে যেতে হয়েছে বাধা পেয়ে। তারপরেও বেশ কিছু শিকারি পুলিশ ও বনকর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জঙ্গল পথ দিয়েই প্রবেশ করে যায়। জঙ্গলের ভেতরেও চলে পুলিশ ও বন কর্মীদের টহল।
জানা গিয়েছে, ওই শিকারে স্থানীয় লোকজন অংশ নেই, বড় জমায়েত হয় না। তবুও বন্য পশু-পাখি শিকার যাতে না করতে পারে, সতর্ক ছিল বনদপ্তর। অন্যদিকে মেদিনীপুর রেঞ্জের সিজুয়ায় স্থানীয় মানুষজন, বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতা বৈঠক করল বনদপ্তর। ‘হিল’ নামে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মানুষজনদের দেখালেন পশু-পাখি শিকার করা কেন উচিত নয়। উল্লেখ করা যায়, আগামী ২০ চৈত্র মেদিনীপুর রেঞ্জের জামশোলে রয়েছে শিকার উৎসব। ঐদিন অন্যান্য জেলা থেকেও শিকারিরা জমায়েত হন। উৎসব হলেও বন্যপ্রাণ হত্যা যাতে না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মেদিনীপুর বন বিভাগ। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক শান্তনু কুলভি বলেন, “প্রাথমিক স্কুল স্তর থেকে শুরু করে গ্রামবাসী ও যৌথ বন পরিচালন কমিটিগুলিকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিন জেলা থেকে গাড়ি করে আসা শিকারিদের আটকাতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বনকর্মীরা নাকা পয়েন্ট করবে। গাড়ি মালিকদের সংগঠনেও জানানো হচ্ছে যাতে শিকারে তারা গাড়ি ব্যবহার করতে না দেন।”