এই প্রথম জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রেফতার
“বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরান।” অর্থাৎ বদমায়েশিতে বারবার সফল হলেও শেষে পর্যন্ত তার শাস্তি হয়। একদিকে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার শিখরে পশ্চিম মেদিনীপুর। অন্যদিকে বেশ কিছু অসাধু মানুষজন প্রখর গরমের মধ্যেও জঙ্গলের শুকনো পাতা এবং কাঠে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। রৌদ্রের তাপে যখন মানুষজন বাইরে বেরোতে পারছেন না। সেই মুহূর্তে বনকর্মীদের ছুটে যেতে হচ্ছে আগুন নেভাতে। শালবনীর ভাদুতলা থেকে মেদিনীপুরের গোপগড় এমন একাধিক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রৌদ্রের মধ্যেই সেই আগুন নেভাতে যেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন বনাধিকারিকরা। তার পরেও হুঁশ ফিরেনি। সেই আগুন লাগানোর ঘটনায় এবার গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। বলা যেতেই পারে, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রথম কেউ গ্রেপ্তার হলেন জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনায়। শুক্রবার তাকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভাদুতলার ধবাশোলের জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক ব্যক্তিকে আগুন লাগাতে দেখেছেন তারা। ওই ব্যক্তি মোটর বাইক নিয়ে ওখানে দাঁড়িয়ে আগুন লাগিয়েছেন। তাঁকে আটকে দীর্ঘক্ষণ তার সঙ্গে বাদানুবাদ চলে স্থানীয়দের। পরে বনদপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার ও আটক করে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল, ওই ব্যক্তি আগুন লাগিয়েছেন। পরে বনকর্মী ও দমকল কর্মীরা আগুন নিভিয়ে দেয়। আটক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকার করেন জঙ্গলে আগুন লাগানোর কথা। তারপরই তাকে গ্রেফতার করে বনদপ্তর। ওই ব্যক্তির নাম অজিত ঘোষ (আনুমানিক ৫৫)। বাড়ি চন্দ্রকোণা রোডের দুর্লভগঞ্জ এলাকায়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় অজিত বাবু একটি ফাইনান্স কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি স্বীকার করেছেন ভুলবশতঃ আগুন লাগিয়ে ফেলেছেন। ভাদুতলা রেঞ্জের আধিকারিক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনায় অজিত ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে। আগুন লাগিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন।” আদালত শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করেছে।