আগুন নেভাতে ‘ক্লান্ত’ বনদপ্তর! এগিয়ে এলো পুলিশ
বসন্তের ঝরা পাতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগার চিত্র উঠে আসছে। সকাল থেকে রাত বিভিন্ন জঙ্গলে ছুটে যাচ্ছেন বনকর্মীরা সেই আগুন নেভাতে। এই সময় অফিসে থাকার মত একজনও বনকর্মী মিলছে না। আগুন লাগার খবর এলেই বিভিন্ন জঙ্গলে যেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁড়ার রেঞ্জের আধিকারিক সুজিত পন্ডা বলেন, “সূর্য ওঠার পর থেকেই একের পর এক ফোন আসছে বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগার। বনকর্মীরা যাচ্ছেন সেই আগুন নেভাতে।” ঠিক এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাত্রি আটটা নাগাদ গুড়গুড়িপাল ও শালিকার জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই সময় টহলরত অবস্থায় ছিলেন গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ কর্মীরা। তারা দেখতে পান ওই জঙ্গলে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। শুধু বনদপ্তরকে ফোন করে তারা থেমে থাকেননি। থানার এএসআই অপূর্ব পাত্রের নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা গিয়ে হাত লাগান সেই আগুন নেভাতে। প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে লেগে থাকা আগুন নিভিয়ে দেন। ওই সময় গুড়গুড়িপাল বিট অফিসের বনকর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন বালিচূড়ার জঙ্গলে। ওখানে কেউ বা কারা সন্ধ্যায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ব্লোয়ার দিয়ে আগুন নিভিয়ে তারাও ফিরে আসেন গুড়গুড়িপালের জঙ্গলে। এই চিত্র দেখে বলা যেতেই পারে সকাল থেকে রাত বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন নেভাতে গিয়ে কার্যত ক্লান্ত বনকর্মীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে পুলিশ। চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সুজিত পন্ডা বলেন, “পুলিশ আমাদের ফোন করে জানিয়েছে। ওই সময় আমাদের কর্মীরা বালিচূড়ার জঙ্গলে আগুন নেভাচ্ছিল। খবর পেয়ে তারাও এসেছিল। আগুন নিভে গিয়েছে পুরোটাই।”