লোকালয় থেকে হাতি সরাতে গিয়ে প্রায়ই বনকর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়। এবার অবৈধভাবে গাছ কাটা আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বনকর্মীরা। ঘটনাটি শনিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরা এলাকায়। ওই এলাকায় বেশকিছু গাছ বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই কাটা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধ করতে বলায় চড়াও হয় বনকর্মীদের উপর। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বনপুরা গ্রামে এক ব্যক্তি সিরিশ, চল্লা, শিমুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটছিলেন বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে যান বাঘাশোল বিট অফিসার খোকানাথ মাহাত সহ বনকর্মী সন্দীপ ওঝা, শ্রীকান্ত টুডু, অভিনন্দন শাসমলরা। ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চাওয়া হয় গাছ কাটার বৈধ অনুমতি রয়েছে কিনা। গাছের মালিক কোনোরকম বৈধ অনুমতি দেখাতে পারেননি। তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে বলেন বনকর্মীরা। সেই সময় গ্রামের আরও কয়েকজন এসে বনকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদের মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। সঙ্গে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশও কেড়ে নেই বলে অভিযোগ ওই বনকর্মীদের। খবর পেয়ে মেদিনীপুর রেঞ্জ অফিস থেকে আরও বনকর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক শান্তনু কুলভি বলেন, “বাঘাশোল বিটের বনকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বনপুরা এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কাটা বাধা দিতে গিয়ে। তাদের চিকিৎসা করিয়ে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই গাছগুলো বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।” মারধরের ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যে নেওয়া হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন ওই বন আধিকারিক।